সরকারি হাপাতালে ডায়েরিয়া রোগের ঔষধ নেই

0
79

কুতুবদিয়া

লিটন কুতুবী
কুতুবদিয়া।

জোৎনা আকতারের কন্যা ইয়াছমিন আকতার (১৪ মাস) ডায়েরিয়া রোগে আক্রান্ত হলে বিগত ৪দিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। রোগীর সেবনের সব ঔষধ ফার্মেসী থেকে কিনে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। ছলিম উল্লাহর ছেলে আমান উল্লাহ (৫) ডায়েরিয়া রোগী হয়ে দুই দিন পূর্বে মঙ্গলবার রাতে হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতাল থেকে একটি কলেরা স্যালাইন ছাড়া আর কিছু দেয়নি। রোগীর সব ঔষধ বহির থেকে কিনে নিতে হচ্ছে এমন অভিযোগ রোগীদের । এ রকম চিত্র হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ২০জন ডায়েরিয়া রোগীর অবস্থা। নার্সদের (স্বাস্থ্য সেবিকা) সাথে অনেক সময় রোগীদের মধ্যে ঔষধ সরবরাহ নিয়ে তর্কাতর্কিও হয়েছে। হাসপাতালের ঔষধ না পেয়ে রোগীরা নার্সদের সাথে র্দূব্যবহার করলেও নার্সরা সহ্য করে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।

এ চিত্রটি দেখা গেছে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলার সরকারি হাসপাতালে। অবশ্য সরকারি হাসপাতালে নার্সের সবপদ শুন্য থাকায় একটি প্রাইভেট সেবামুলক প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামস্থ কুতুবদিয়া সমিতির বেতনে কুতুবদিয়া দ্বীপের মানুষের কল্যাণার্থে ৬ জন নার্স দিয়েছেন। এ ছয়জন নার্স বর্তমানে হাসপাতালে রুটিন মাফিক সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছেন বলে হাসপাতালে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোঃ শাহাব উদ্দিন এ প্রতিনিধিকে নিশ্চিত করেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ ডিসেম্বর হতে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৮৩ জন শিশু ডায়েরিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় হাসপাতালে সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, হাসপাতালে ১৮ শিশু ডায়েরিয়া রোগী ভর্তি আছেন। এসব রোগীরা সরকারিভাবে সরবরাহকৃত ডায়েরিয়া রোগের ঔষধ না পেয়ে জীবন বাচাঁর তাগিদে ফামের্সী থেকে ঔষধ কিনে রোগীরা সেবন করে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোঃ শাহাব উদ্দিনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে সাথে জ্বর ও ডায়েরিয়া রোগ দেখা দিয়েছে। গত এক সপ্তাহে ডায়েরিয়া রোগীর চাপ হাসপাতালে বেড়ে গেছে। হাসপাতালে ডায়েরিয়া রোগের পর্যান্ত ঔষধ সরবরাহ নেই বলে জানান।