সাংগ্রাইং উৎসবে মেতেছে পাহাড়ীরা

0
59

বান্দরবান প্রতিনিধি:
বান্দরবানে মারমা সম্প্রদায়ের প্রধান সমাজিক উসৎস ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাইং শুরু হয়েছে। বাংলা নববর্ষ বরণ এবং বর্ষবিদায় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সকল পাপাচার ও গ্ল¬¬ানী ধুয়ে মুছে নিতে পাহাড়ে পাঁচদিন ব্যাপী বৈসাবি উৎসব চলছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে মারমা সম্প্রদায়ের সাংগ্রাইং র‌্যালীর মাধ্যমে চারদিন ব্যাপী মূল অনুষ্ঠানমালার উদ্ধোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক, জেলা পুলিশ সুপার সনজিত কুমার রায়’সহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।
সাংগ্রাইং র‌্যালীতে মারমা, তঞ্চঙ্গ্যা, চাকমা, ত্রিপুরা, ম্রো, চাক, খেয়াং, খুমী, বম, লুসাই, পাঙ্খোয়া সম্প্রদায়ের তরুন-তরুনী এবং শিশু-কিশোর’সহ নারী-পুরুষেরা নিজস্ব সাঁজ সজ্জা, পোষাকে ব্যানার ফেস্টুন, প্লেকার্ড নিয়ে অংশ নেয়। র‌্যালীটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র‌্যালী শেষে রাজারমাঠে বয়স্ক পূজা অনুষ্ঠিত হয়। অপরদিকে গতবুধবার’রাতে শহরের বালাঘাটায় বিলকিছু বেগম স্কুল মাঠে তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী বিষু উৎসবে ঘিলা খেলায় মেতেছিল তঞ্চঙ্গ্যা তরুন-তরুনীরা। নাচে-গানে উৎসব মাতিয়ে তোলেন জেলার বিভিন্ন স্থানের পাহাড়ী পল্লীগুলো থেকে অংশ নেয়া তঞ্চঙ্গ্যা তরুন-তরুনীরা। ঐতিহ্যবাহী ঘিলা খেলায় অংশ নেয় বান্দরবান ও রাঙামাটি জেলার তরুন-তরুনীরারা। এছাড়াও চিম্বুক পাহাড়ের বাইট্টাপাড়া স্কুলমাঠে ম্রো সম্প্রদায়ের চাংক্রান উৎসবের আয়োজন করা হয়।
এদিকে মারমা ভাষায় সাংগ্রাই, ত্রিপুরা ভাষায় বৈসু, তঞ্চঙ্গ্যা ভাষায় বিসু এবং চাকমা ভাষায় বিজু’র সংক্ষেপিত রুপ হচ্ছে বৈসাবী। পাহাড়ী চার সম্প্রদায়ের প্রধান এই সামাজিক উৎসবকে সমষ্টিগত ভাবে বৈসাবি বলা হয়। পাহাড়ে বর্ষবরণ উৎসব চলবে আগামী ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত।