চবি প্রতিনিধি :
চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (চবিসাস) সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক প্রথম আলোর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি তাসনীম হাসানকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া ছাত্রলীগ নেতা আশরাফুজ্জান আশার শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বিশ^বিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকরা। মানববন্ধন শেষে বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর তিনদফা দাবিতে স্মারকলিপি দেন সাংবাদিকরা।
রবিবার দুপুরে সাংবাদিক সমিতির ব্যানারে বিশ^বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ কর্মসূচি পালন করে চবিসাস। এতে ছাত্রলীগের সব ধরনের সংবাদ বর্জনসহ ৭২ ঘন্টার মধ্যে দোষী আশার শাস্তির দাবি জানানো হয়।
সমিতির তিন দফা দাবি হল, বিগত সময়ে সংঘটিত সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় প্রক্টর অফিসে দায়েরকৃত সব অভিযোগের বিচার করা, সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তাসনীম হাসানকে হুমকি দেয়া আশরাফুজ্জামানকে ৭২ ঘন্টার মধ্যে বিশ^বিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ শাস্তি ব্যাবস্থা করা, বিশ^বিদ্যালয়ের সকল সাধারণ শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
চবি সাংবাদিক সমিতির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবু বকর রাহাতের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সমিতির সভাপতি হুমায়ূন মাসুদ, সহ-সভাপতি মাসুদ ফরহান অভি, সাধারণ সম্পাদক তাসনীম হাসান, কার্যনিবাহী সদস্য শাকিরুল হক তরু ও সমিতির জ্যেষ্ঠ সদস্য সানজিদা জিনিয়া।
এসময় সভাপতির বক্তব্যে চবিসাসের সভাপতি হুমায়ুন মাসুদ বলেন,‘ শুধু সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তাসনীম হাসান নন, অন্যান্য সময়ও বিশ^বিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের ওপর যেসব হামলা ও হুমকি-ধমকির ঘটনা ঘটেছে তার বিচার চাই। আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে আমাদের দাবিগুলো মেনে না নিলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য থাকবো। তিনি এসময় আজ নগরের প্রেস ক্লাবের সামনে একই দাবিতে মানবন্ধনের ঘোষণা দেন।’
সমিতির সহ-সভাপতি ফরহান অভি বলেন, ‘ বিশ^বিদ্যালয়ের বর্তমান মেরুদ-হীন প্রশাসনের মদদে কিছু কিছু ছাত্র নামের সন্ত্রাসী শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, সাংবাদিক এমন কি পুলিশের ওপর হামলার সাহস দেখিয়েছে। উপাচার্যেও কাছে আহবান এদেরকে থামান। বিশ^বিদ্যালয়ের নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি যদি বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন যদি থামাতে ব্যর্থ হয় তাহলে আমরা ইউজিসির চেয়ারম্যান, শিক্ষামন্ত্রী এবং প্রয়োজনে আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাবো।’ মানববন্ধনে বিশ^বিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সকল সদস্য ও কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। মানবন্ধনে বিশ^বিদ্যালয় শাখা ছাত্রফ্রন্ট, ছাত্র ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ একাত্মতা প্রকাশ করেন।