চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায় সাংবাদিক আবুল ফজল বাবুলের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ও হামলাকারীদের দৃষ্টান্ত শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ, আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন ও উপজেলা খেলাঘর আসরের শিশু কিশোররা।
বৃস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে এ কর্মসূচি উপজেলা সদরে পালন করা হয়।
আগামীকাল শুক্রবার বোয়ালখালী প্রেসক্লাব খেলা ঘরের ১৩ শাখা আসর মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করবে। এছাড়া হামলাকারী দুর্বৃত্তদের গ্রেফতারের দাবীতে উপজেলা আওয়ামী লীগ সপ্তাহব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা করেছে।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক রেজাউল করিম বাবুল, বোয়ালখালী প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. শাহীনুর কিবরিয়া মাসুদ, পৌর আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ শহীদুল আলম, খেলাঘর আসরের নেতৃবৃন্দ।
স্থানীয় সাংবাদিক পূজন সেন জানান, বোয়ালখালীতে ইভটিজিং এর প্রতিবাদ করায় দূর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন সাংবাদিক আবুল ফজল বাবুল। তিনি অনলাইন নিজউ পোর্টাল বোয়ালখালী নিউজ.কম এর সম্পাদক, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য ও বোয়ালখালী প্রেস ক্লাবের নির্বাহী সদস্য।
বুধবার দুপুরে পৌর সদরে এ হামলার শিকার হন তিনি। বর্তমানে আশংকাজনক অবস্থায় তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। জনতা এক দুবৃর্ত্তকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। এ ঘটনায় ৪জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৪/৫জন আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জানা যায়, বোয়ালখালীতে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার ৪র্থ দিন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় খেলাঘর দিশারীর পরিবেশনায় সংগীতানুষ্ঠান চলাকালে কয়েকজন উৎশৃঙ্খল যুবক খেলাঘরের কিশোরীদের যৌন হয়রানির উদ্দেশ্যে নানাভাবে উক্ত্যত করতে থাকে। বিষয়টি উপজেলা খেলাঘর সভাপতি আবুল ফজল বাবুল জানতে পেরে এর প্রতিবাদ করেন।
এর জের ধরে গত বুধবার দুপুরে দুর্বৃত্তরা সংঘবদ্ধ হয়ে ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্প ও লোহার রড নিয়ে সকাল থেকে সদরে উৎ পেতে থাকে। বেলা দেড়টা নাগাদ বিজয় মেলার মুক্ত মঞ্চ থেকে বোয়ালখালী প্রেসক্লাবে আসার পথে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সামনে সড়কের ওপর সংঘবদ্ধ দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়।
বোয়ালখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শামছুল ইসলাম জানান, সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সাংবাদিকরা অভিযোগ করেন আটক দূবৃর্ত্তকে জেল হাজতে না রেখে ওসি তদন্তের রুমে রেখে আপ্যায়ন করতে দেখা গেছে। এতে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে উপস্থিত সাংবাদ কর্মীদের মধ্যে।