সাউথ এশিয়ান কলেজ

0
156

sautসাউথ এশিয়ান কলেজ চিটাগাং
চট্টগ্রামের প্রথম পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল কলেজ পূর্ণ করল তাদের প্রথম বছর
২০১২ সালের চট্টগ্রামের প্রথম ডিজিটাল কলেজ হিসেবে সাউথ এশিয়ান কলেজের যাত্রা শুরু হয়। প্রতিষ্ঠার এক বছর পূর্তি উপলক্ষে গতকাল রোববার সকালে নগরের প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে আয়োজন করা হয়। সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে চকবাজারে সদ্য প্রতিষ্ঠিত এই কলেজ কর্তৃপক্ষ জানাল তাদের বর্তমান ও ভবিষ্যত পরিকল্পনার কথা।
২০১২ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনপ্রাপ্ত বেসরকারি কলেজ সাউথ এশিয়ানে বর্তমানে (২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষে) বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষায় ২৩৮ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। আজ সোমবার থেকে নতুন শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানায় কলেজ কর্তৃপক্ষ। ২০১৩ সালের এসএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ প্রাপ্তদের সম্পূর্ণ বিনা বেতনে ও জিপিএ পাঁচ প্রাপ্তদের বেতনে ৫০ শতাংশ ছাড় দেয়া হচ্ছে। এছাড়া ভর্তি ফি’তে রয়েছে ৫০ শতাংশ ছাড়!
কলেজের প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মানুন ছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাউথ এশিয়ান কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো. আবু বকর সিদ্দিক, চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সাবেক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ ও কলেজের অধ্যক্ষ এ ওয়াই এম ওবায়দুল আকবার, চিটাগাং রীড ফাউন্ডেশনের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা ও চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সাবেক কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর হুমায়ুন কবির, উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ তানভীরুল হক, নির্বাহী সদস্য কাউন্সিলর আঞ্জুমান আরা বেগম ও অভিভাবক প্রদীপ কুমার পালিত।
সংবাদ সম্মেলনে কলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে চাইলে উত্তরে প্রধান নির্বাহী মো. আবদুল্লাহ্-আল-মামুন বলেন, স্বয়ং সম্পূর্ণ আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থা চালুর মাধ্যমে ক্ষুধা, দারিদ্র ও নিরক্ষরমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
আরেক প্রশ্নের উত্তরে কর্তৃপক্ষ জানান, ‘ব্যক্তিমাত্রই কোন দল ও মতে বিশ্বাসী। তবে আমরা নিশ্চয়তার সাথে বলতে পারি এই কলেজ সম্পূর্ণ রাজনীতিমুক্ত।’
বর্তমানে কলেজে বিজ্ঞান বাণিজ্য শাখা চালু রয়েছে, তবে খুব শীঘ্রই মানবিক শাখা চালু করার চিন্তা-ভাবনা রয়েছে বলেও জানান কর্তৃপক্ষ। চট্টগ্রামের প্রথম পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল কলেজ দাবি করা এই প্রতিষ্ঠানটিতে ভর্তিকৃত প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে শিক্ষা সহায়ক উপকরণ হিসেবে পাঠ্যবইয়ের ডিজিটাল ভার্সনসহ ল্যাপটপ ছাড়াও বই-খাতা-কলম, ইউনিফর্মসহ সকল শিক্ষা উপকরণ বিনামূল্যে দেয়া হচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। এছাড়া এই প্রতিষ্ঠানটিতে রয়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষ, প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে ল্যাপটপ, অভিভাবকদের জন্য দৈনিক এসএমএস অ্যালার্ট, শিক্ষার্থী-শিক্ষক-অভিভাবকদের জন্য ওয়েব পোর্টাল, অটো-মোশন ও বায়ো মেট্রিক সলিউশন, ছাত্র-শিক্ষকদের অনুপাত ১০ : ১, সিসিটিভি মনিটরিংসহ সকল প্রকার ডিজিটাল সুবিধা। এছাড়া গরিব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য ভর্তি ফি ও মাসিক বেতনে ছাড় হয়। এই প্রতিষ্ঠানে “Method-69” পদ্ধতিতে পাঠদানের ফলে কোন শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়তে হয় না এবং দুর্বলদের জন্য কলেজের খরচের অতিরিক্ত ক্লাসের ব্যবস্থা করা হয় বলে জানানো হয়। কলেজটির পরিচালনায় রয়েছে চিটাগং রীড (READ) ফাউন্ডেশন।