সাত কোটি টাকা দামের মার্সিডিজ বেঞ্জ জব্দ

0
98

চোরাই পদ্ধতিতে আমদানি করা বিশ্বখ্যাত ব্রান্ড মার্সিডিজ বেঞ্জের একটি বিলাসবহুল গাড়ি জব্দ করেছে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ। শনিবার সকালে ধানমন্ডির ৫ নম্বর সড়কের ২৩/এ নম্বর বাড়ি থেকে র‌্যাবের সহায়তায় প্রায় সাত কোটি টাকা মূল্যের এই গাড়িটি জব্দ করা হয়। শুল্ক ফাঁকি দিয়ে এবং ভুয়া নিবন্ধনের মাধ্যমে বেলায়েত হোসেন নামে এক ব্যক্তির মালিকানায় গাড়িটি ব্যবহার হচ্ছিল বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। জব্দ করা এ গাড়িটি বর্তমানে শুল্ক গোয়েন্দাদের হেফাজতে রয়েছে।

সাত কোটি টাকা দামের মার্সিডিজ বেঞ্জ জব্দ
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান জানান, চোরাচালানের মাধ্যমে প্রায় সাত কোটি টাকা দামের গাড়িটি (ঢাকা মেট্রো-গ-১৪-৯৭৩৮) আনা হয়েছিল। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাবকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালিয়ে বেলায়েত হোসেনের ধানমন্ডির ওই বাড়ি থেকে সর্বাধুনিক মডেলের এই মার্সিডিজ গাড়িটি জব্দ করা হয়েছে। ড. মইনুল খান বলেন, অসাধু ব্যবসায়ী বেলায়েত হোসেন ভুয়া কাগজপত্র ও বিল অব এন্ট্রি দিয়ে ২০০৯ সালে মার্সিডিজ বেঞ্জটি নিয়ে আসেন। মিথ্যা ঘোষণায় চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করেই ওই গাড়িটি আনা হয়। পরে ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে বিআরটিএ থেকে গাড়িটির নিবন্ধনও নেন তিনি। তবে যে বিল অব এন্ট্রির কাগজপত্র ব্যবহার করা হয়েছে, সেটি প্রকৃতপক্ষে পদ্মা অয়েল কোম্পানি চট্টগ্রামের আমদানিকৃত পণ্য হাইস্পিড ডিজেল ডেনসিটির নামে। ফলে ওই গাড়িটি চোরাচালানের মাধ্যমেই দেশে আনা হয়েছে এটা নিশ্চিত।
ড. মইনুল খান জানান, গাড়িটি বৈধভাবে আমদানি করতে গেলে তিন কোটি টাকা শুল্ক দিতে হতো, যা ফাঁকি দেয়া হয়েছে। শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, গাড়িটির মালিক বেলায়েত অবৈধ কসমেটিকস ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। সম্প্রতি যাত্রাবাড়ী এলাকায় তার একটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে কোটি কোটি টাকা মূল্যের অবৈধ ও নকল প্রসাধনী (কসমেটিকস) জব্দ করা হয়। ওই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে।