সামুদ্রিক সম্পদ রক্ষায় দ্রুত পরিকল্পনা নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

0
90
ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গোপসাগরে ভারত ও মিয়ানমারের কাছ থেকে উদ্ধারকৃত এলাকা সুযোগ্য পরিকল্পনার মাধ্যমে রক্ষার প্রস্তুতি এবং জনগণের কল্যাণে সামুদ্রিক সম্পদ ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।

আজ বুধবার তিনি তাঁর তেজগাঁও কার্যালয়ে উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে সমুদ্রসীমানা বিজয়ের মাধ্যমে উদ্ধারকৃত এলাকায় প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণের জন্য কৌশলগত পরিকল্পনা গ্রহণের কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গবেষণা ও জরিপের মাধ্যমে আমাদের সমুদ্রসীমার সম্পদ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। তিনি বলেন, সমুদ্রের গভীর-অগভীর যে কোন এলাকায় গবেষণা ও জরিপ পরিচালনা অব্যাহত থাকবে।

প্রায় তিন ঘণ্টা বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব একেএম শামীম চৌধুরী সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, সংশ্লিষ্ট সচিবগণ, নৌবাহিনী প্রধান, স্পারসোর চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশনের সার্ভেয়ার জেনারেল ও চেয়ারম্যান বৈঠকে সামুদ্রিক সম্পদের উন্নয়ন ও ব্যবহারের ওপর ১০টি ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাগণ, নৌবাহিনী প্রধান, সচিবগণ ও সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, খুব সংক্ষিপ্ত সম্ভাব্য সময়ের মধ্যে আমাদের এই বিজয়কে সুসংহত করতে হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, সামুদ্রিক সম্পদ দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিপ্লব বয়ে আনবে।

শেখ হাসিনা বলেন, জরীপ ও গবেষণার জন্য দেশের নিজস্ব স্যাটেলাইটের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হচ্ছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, ২০১৭ সালে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হবে। তিনি বলেন, তাঁর সরকার সমুদ্র ও এর সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বাংলাদেশ কোস্টগার্ডকে আরো শক্তিশালী করার পদক্ষেপ নিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী সমুদ্রের প্রতিবেশ ও জীব-বৈচিত্র্য রক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে সকল সম্পদ আহরণের লক্ষ্যে নিজস্ব পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে নির্দেশ দেন।

শেখ হাসিনা চর এলাকা রক্ষা এবং সেগুলোকে বাসযোগ্য করার লক্ষ্যে ব্যাপকহারে বৃক্ষরোপণের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দেন। তিনি বঙ্গোপসাগরে গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য নতুন করে বিডিং শুরু করতে জ্বালানি মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়ে বলেন, এ ব্যাপারে কোন বিডার যাতে একচেটিয়ে প্রতিষ্ঠা করতে না পারে তা নিশ্চিত করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী সমুদ্রে আকর্ষণীয় পর্যটন ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশের সঙ্গে সহযোগিতা জোরদারের আহ্বান জানান।

প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সমুদ্রসীমানা বিরোধ নিষ্পত্তিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ পরবর্তী সরকারগুলো এ ব্যাপারে অনাগ্রহ দেখিয়েছে।

তিনি বলেন, ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯৬ সালের ক্ষমতায় এসে এ ব্যাপারে পুনরায় উদ্যোগ নেয়।

প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট সকলকে যতোদ্রুত সম্ভব জনগণের কল্যাণে সামুদ্রিক সম্পদ আহরণে উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান। এ ব্যাপারে তিনি সামুদ্রিক এলাকা থেকে খনিজ ও মৎস্য সম্পদ আহরণের গুরুত্ব আরোপ করেন।

এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী খনিজ সম্পদ আহরণে জ্ঞান অর্জন এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা জোরদারের আহ্বান জানান। –