সারাদেশে টানা হরতাল আসছে

0
78

সারাদেশে টানা হরতালের ডাক দিতে পারে ২০ দলীয় জোট।

৫ জানুয়ারি সমাবেশ করতে না দিলে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হতে পারে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। তবে অবস্থা বুঝে টানা কর্মসূচিসহ হরতাল ৭২ ঘণ্টারও হতে পারে বলে জানিয়েছে অপর এক সূত্র।

অনুমতি না দিলেও ৫ জানুয়ারি রাজধানীতে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবসের’ কর্মসূচি পালনে অনড় রয়েছে বিএনপি। বিএনপির একাধিক নেতা গণমাধ্যমে এ অবস্থানের কথা জানিয়েছেন। এমনকি ওইদিন বিএনপি চেয়ারপারসন পল্টনে আসবেন বলেও জানিয়েছেন তারা।

যে কোনোভাবে পল্টনে সমাবেশ করার প্রস্তুতিও নিচ্ছেন জোটের নেতাকর্মীরা। তবে এখন
পর্যন্ত অনুমতি দেয়নি ডিএমপি।

অপরদিকে পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের কর্মসূচি হচ্ছে- ৫ জানুয়ারি সারা দেশে সকাল থেকে প্রতিটি ওয়ার্ড, থানা, জেলা ও উপজেলায় বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বাজবে, ওইদিন ‘গণতন্ত্র রক্ষা দিবস’ উপলক্ষে দুপুর আড়াইটায় রাজধানীসহ দেশের সকল
জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিজয় র‌্যালি হবে। বিজয় র‌্যালি শেষে ঢাকার নির্বাচনী এলাকায় ১৬টি স্পটে ভাগ হয়ে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন দলের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ। এর মধ্যে একটি হবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। সেখানে বক্তব্য দেবেন আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতারা। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাষণ দেবেন।

২০ দলেরে একাধিক সূত্র বলছে, অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, সমাবেশের অনুমতি দেয়া হবে না। এমনকি বিএনপি চেয়ারপারসনকে বাসা থেকে বের হতে দেয়া হবে না। অনুমতি না
দেয়ার ইস্যুটাকে কাজে লাগিয়ে লাগাতার আন্দোলন শুরু হবে।

২০ দলের একাধিক সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আমরা যতই চাই বা বলি না কেন, আমরা সংঘাত চাই না। আমাদের কর্মসূচি হবে শান্তিপূর্ণ। কিন্তু আওয়ামী নেতাদের বক্তব্যে মনে হচ্ছে, ৫ জানুয়ারি ২০ দলকে রাজধানীতে কোনো কর্মসূচি পালন করতে দেবে না সরকার। এমনকি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকেও বাসা থেকে বের হতে দেবে না বলেই মনে হচ্ছে। গত ২৯ ডিসেম্বরের ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ কর্মসূচির দিন খালেদা জিয়ার বাসার সামনে বালুর ট্রাক রেখে তাকে আটকে দেয়া হয়। সেদিন রাজপথে শুধু প্রশাসন ছিলো। কিন্তু ৫
জানুয়ারি প্রশাসনের সাথে আওয়ামী লীগের লাখো নেতাকর্মী রাজপথে থাকবে। ইতোমধ্যে তারা ১৬টি পয়েন্টে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে। এ অবস্থায় সরকার যেমন ২০ দলকে ৫ জানুয়ারি কোনো কর্মসূচি পালনের অনুমতি দেবে না, তেমনি প্রশাসন ও আওয়ামী লাখো নেতাকর্মীর মুখোমুখী সংঘর্ষে যাওয়াও সমীচীন হবে না। তবে ৫ জানুয়ারির কর্মসূচি পালনের জন্য সর্বাত্নক চেষ্টা করবে ২০ দল। সেরকম নির্দেশনা ও প্রস্তুতিও নেয়া হয়েছে।

তবে অপর সূত্র জানায়, যদি খালেদা জিয়া বাসা থেকে বের হতে পারেন তবে পরিস্থিতি অন্য রকম হবে। ওইদিন গণঅভ্যূত্থানও হতে পারে।

ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল বলছেন, সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, আমাদের সমাবেশ শন্তিপূর্ণ হবে। আমাদেরকে সমাবেশ করতে দেয়া হোক। যদি সমাবেশ করতে না দেয়, হরতাল অবরোধের মতো কর্মসূচি দিতে বাধ্য থাকবো।