সারা দেশে তীব্র তাপদাহ বইছে

0
57

সারা দেশে তীব্র তাপদাহ বইছে। বিশেষ করে পশ্চিম ও দক্ষিণাঞ্চলে গরমে মানুষের অবস্থা কাহিল। স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারছেন না কেউই। দিনের বেলা রোদের কারণে বাসা-বাড়ি থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না। গত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা অব্যাহতভাবে বেড়েই চলেছে। ফলে অফিসগামী, মানুষ, শ্রমিক, স্কুলগামী শিক্ষার্থী এবং অল্প বয়সের শিশুরা গরম ও তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।

এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, চলতি মাসের ৭ তারিখে রাজধানীর তাপমাত্রা ছিল ৩১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, পরদিন এ তাপমাত্রা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ৯ তারিখে তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১০ই জুন তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলেও বাতাসে অতিরিক্ত আর্দ্রতা থাকায় ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে মনে হচ্ছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও বেশি। এভাবে প্রতিদিনই বাড়ছে। গতকাল বিকাল ৩টায় ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সারা দেশের মধ্যে রাজশাহীতে ছিল সর্বোচ্চ ৩৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন ছিল সিলেটে ২৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বর্তমানে সিলেটে তুলনামূলক কিছুটা ভাল আবহাওয়া বিরাজ করছে। মওসুমি বায়ু প্রবাহিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত আবহাওয়ার এই অবস্থা চলবে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে।

অতিরিক্ত গরমের কারণে রিকশা চালানো থেকে বিরত থাকছেন অনেক চালক। আর যারা চালাচ্ছেন তারা ঘন ঘন ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছেন। শরবত খাচ্ছেন ফুটপাত থেকে। অতিরিক্ত গরমে শিশুরা সবচেয়ে অস্বস্তি বোধ করছে। একদিকে গরম অন্যদিকে লোডশেডিংয়ের কারণে মানুষের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। হাসপাতালে মানুষ কষ্ট পাচ্ছে বেশি। বাসের যাত্রীদেরও একই অবস্থা। অতিরিক্ত গরম প্রসঙ্গে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ মো. আবুল কালাম মল্লিক বলেন, মওসুমি বৃষ্টিপাত হলে তাপমাত্রা কমে আসবে। এর জন্য নগরবাসীকে আরও দু’-তিন দিন অপেক্ষা করতে হবে হয়তো। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সিলেটের ওপর দিয়ে মওসুমি বায়ু প্রবাহিত হতে পারে বলে জানানো হয়। তবে সারা দেশে এ বায়ুপ্রবাহ শুরু হতে আরও দুই থেকে তিন দিন লাগতে পারে। আবহাওয়া কর্মকর্তারা জানান, মওসুমি বায়ুপ্রবাহ শুরু না হওয়া পর্যন্ত তাপমাত্রা আরও বাড়বে। তারা বলেন, বছরের এই সময় সূর্যের কিরণ লম্বালম্বিভাবে ভূপৃষ্ঠে আপতিত হওয়ার কারণে অধিক তাপমাত্রা অনুভূত হয়। সাধারণত জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস বর্ষাকাল এবং মার্চ থেকে মে পর্যন্ত প্রাক বর্ষাকাল। প্রাক বর্ষাকালের কারণে তাপমাত্রা বাড়ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। মওসুমি বায়ুপ্রবাহ দক্ষিণ এশিয়ায় ৬ মাস উত্তর পূর্ব দিক থেকে এবং ৬ মাস দক্ষিণ পূর্ব দিক থেকে পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়।