নূর মোহাম্মদ রফিক যে পারদর্শিতা দেখিয়েছেন তা অনন্য

0
63

 

নূর মোহাম্মদ রফিক কোন ধরণের একাডেমিক সুবিধা না নিয়েও, একাডেমিক মানুষ না হয়েও চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষা চর্চায় যে পারদর্শিতা দেখিয়েছেন তা অনন্য। ছড়াচর্চা, সাংবাদিকতার ভেতর থেকেও মূলত নূর মোহাম্মদ রফিককে মানুষ মনে রাখবে, স্মরণ করবে আঞ্চলিক ভাষা চর্চার একজন অগ্রগামী পুরুষ হিসেবেই। তিনি ছড়াকে জনপ্রিয় করতে ভূমিকা রেখেছেন অগ্রগামী পথিকের। তার ছড়া টনটনে, বিশেষ করে আঞ্চলিক ছড়াগুলোতে বারবার দৃশ্যমান হতে থাকে এখানকার জীবন ও লোকাচার। তিনি ব্যক্তিগত জীবনে একজন নির্লোভ, নিরহংকারী ও নিজেও যেহেতু মুক্তিযোদ্ধা বুকের গভীরে লালন করতেন দেশপ্রেম, তরুণবান্ধব মানুষ ছিলেন। জীবনে নানা বৈচিত্রময়তা তার থাকলেও তিনি চট্টগ্রামের সাংবাদিক সমাজ ও প্রেস ক্লাবের একজন প্রকৃত সুজন ছিলেন। তার মৃত্যু আমাদের জন্য অপূরনীয় ক্ষতি। উপর্যুক্ত কথাগুলো বক্তারা বলেন সাহিত্যবিশারদ সুহৃদ আয়োজিত স্মৃতি তর্পন অনুষ্ঠানে। শহিদুল আলীমের সভাপতিত্বে ৩১ মার্চ বিকেল পাঁচটায় চট্টগ্রাম একাডেমি মিলনায়তনে স্মৃতি তর্পন সভায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কবি হাফিজ রশিদ খান, কবি ওমর কায়সার, গবেষক ড. আহমেদ মাওলা, শিশুসাহিত্যিক অরুন শীল, কবি আরিফ চৌধুরী, কবি কমরুদ্দিন আহমদ, মুক্তিযোদ্ধা এটিএম আবু তাহের। ইলিয়াস বাবরের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফারজানা রহমান শিমু। নূর মোহাম্মদ রফিকের ছড়া থেকে আবৃত্তি করেন তাপস চক্রবর্তী। নূর মোহাম্মদ রফিকের উপর প্রবন্ধ পাঠ করেন মোস্তফা হায়দার। স্মৃতি তর্পনে অংশগ্রহণ করেন কবি সাঈদুল আরেফীন, ফারুক হাসান, রমজান আলী মামুন, অমিত বড়–য়া, এজাহার ইসলাম, মিজান মনির। স্মৃতি তর্পন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের সাহিত্য ও সাংস্কৃতির অনেক কর্মী ও সংগঠক।