রাত সাড়ে ৯টার আগে ফানুস উড়ানোর ক্ষেত্রে আপত্তি জানিয়েছে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সিভিল এভিয়েশন বিভাগ। আপত্তির বিষয়টি চিঠি দিয়ে বৌদ্ধ সমিতিকে জানানো হয়েছে।
শনিবার (১৫ অক্টোবর) দেশব্যাপী ধর্মীয় উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে প্রবারণা পূর্ণিমা উৎসব পালন করছে বৌদ্ধ সম্প্রদায়। প্রতিবছরের মতো এবারও নগরীর বিভিন্ন বৌদ্ধমন্দির থেকে সন্ধ্যার পর ফানুস উড়ানোর প্রস্তুতি নেয়া হয়েছিল।
কিন্তু শনিবার সকালে সিভিল এভিয়েশন বিভাগ থেকে রাত সাড়ে ৯টার পর ফানুস উড়ানোর অনুরোধ জানিয়ে একটি চিঠি এসেছে নন্দনকানন বৌদ্ধ বিহারে। সেখানে সকাল ১১টা থেকে মাইকে ঘোষণা দিয়ে রাত সাড়ে ৯টার আগে ফানুস না উড়ানোর জন্য ভক্ত-দর্শনার্থীদের অনুরোধ করা হচ্ছে।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সিভিল এভিয়েশন বিভাগের ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার রিয়াজ ইউ কবীর বাংলানিউজকে বলেন, জ্বলন্ত ফানুসের জন্য আকাশপথে বিমান চলাচলে বড় ধরনের সংকট তৈরি হয়। এছাড়া বোর্ডিং ব্রিজে রাখা বিমানগুলোর জন্যও ঝুঁকি সৃষ্টি হয়। এজন্য আমরা রাত সাড়ে ৯টার পর ফানুস উড়ানোর অনুরোধ করেছি। এর আগে অবশ্য অপারেশনাল কার্যক্রম মোটামুটি শেষ হয়ে যাবে।
তিনি জানান, শুধুমাত্র নন্দনকানন বৌদ্ধ বিহারকে চিঠি দেয়া হয়েছে। তাদের মাধ্যমে বিষয়টি পটিয়া, বোয়ালখালী, বাঁশখালী, আনোয়ারা এবং নগরীর বৌদ্ধমন্দিরগুলোকে অবহিত করার জন্য বলা হয়েছে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতির চেয়ারম্যান অজিত রঞ্জন বড়ুয়া বাংলানিউজকে বলেন, সকালে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে একটি চিঠি পেয়েছি। তারা যে অনুরোধ করেছেন সেটা আমরা রক্ষা করব। আমরা ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছি যে, রাত সাড়ে ৯টার আগে কেউ ফানুস তুলতে পারবে না।
উইং কমান্ডার রিয়াজ জানান, সম্প্রতি একটি জ্বলন্ত ফানুস শাহ আমানত বিমানবন্দরের বোর্ডিং ব্রিজে গিয়ে পড়ে। এর পাশের বোর্ডিং ব্রিজে একটি বিমান ছিল। জ্বলন্ত ফানুসটি ওই বিমানের ওপর পড়লে বিপদজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হত। এই বিবেচনায় ফানুস উড়ানোর ক্ষেত্রে এই সতর্কতা অবলম্বন করছে সিভিল এভিয়েশন বিভাগ।
এছাড়া ওই ঘটনার পর সিএমপি কমিশনারকেও একটি চিঠি দিয়ে সকল থানার ওসিদের ফানুস উড়ানোর বিষয়টি নজর রাখার নির্দেশ দেয়ার জন্য সিভিল এভিয়েশন বিভাগ অনুরোধ করেছিল বলে জানিয়েছেন রিয়াজ।
তবে সিএমপি কমিশনার মো.ইকবাল বাহার বাংলানিউজকে জানিয়েছেন এই ধরনের কোন চিঠি তিনি পাননি।