সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের দর কারসাজির মুখে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে কোরবানি ঈদের প্রথম দিনে চামড়ার বাজারে ব্যাপক ধস নেমেছে। ৭ থেকে ১০ ঘণ্টা অপেক্ষা করেও নির্ধারিত দামে চামড়া বিক্রি করতে পারেনি মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।
বাসা-বাড়ি ঘুরে ঘুরে কেনা প্রতিটি চামড়ার দামের চেয়ে দু’থেকে তিনশ’ টাকা কম দামে চামড়া বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছে তারা। অপরদিকে মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে কোটি কোটি টাকা কামিয়ে নিয়েছে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা।
ঢাকার ট্যানারি মালিকদের বেঁধে দেয়া দরে অর্থাৎ লবণ মাখানো প্রতি বর্গফুট চামড়া ৪০ টাকা হিসেবে এক পিস চামড়ার দাম কোনোভাবেই ৬০০ টাকা বেশি হওয়ার কথা নয়।
কিন্তু মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বাসা-বাড়ি থেকেই চামড়া কিনেছে ৮’শ থেকে ১২শ টাকা দরে। কিন্তু নগরীর খুচরা বাজারে সেই চামড়া বিক্রি করতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হয় তাদের।
দুপুরের আগেই খুচরা বাজারগুলো চামড়াতে সয়লাব হলেও ছিলো না কোনো ক্রেতা। বিকাল গড়িয়ে-সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত পর্যন্ত ছিলো একই চিত্র।
নিয়ন অনুযায়ী ট্যানারি মালিকেরাই মাঠ থেকে চামড়া কেনার কথা। কিন্তু চট্টগ্রামে কোনো ট্যানারি না থাকায় আড়ৎদাররাই চামড়া কিনেন। কিন্তু মধ্যস্বত্বভোগী সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের দাপটের মুখে তারাও মাঠে নামতে পারে না।
চামড়ার দরের কারসাজি নিয়ে যাদের বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ, সেই সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা বলছেন ভিন্ন কথা। বরং তারা দুষছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীদের।
চট্টগ্রামে বর্তমানে দু’টি ট্যানারি বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় ১’শ ১২ জন আড়ৎদারই হলো বৃহত্তর চট্টগ্রামের চামড়ার মূল ক্রেতা।