সিন্দুকছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়টি নানা সমস্যায় জর্জরিত

0
127

খাগড়াছড়ি’র মহালছড়ি উপজেলাধীন সিন্দুকছড়ি ইউনিয়নে অবস্থিত সিন্দুকছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়টি নানা সমস্যায় জর্জরিত।সিন্দুকছড়ি উচ্চ বিদ্যালয় টিনশেড ভবণগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় বর্তমানে পাঠদান ব্যহত হচ্ছে। দুর্গম ও পিছিয়ে পড়া সিন্দুকছড়ি ইউনিয়নটি মহালছড়ি উপজেলা সদর থেকে ১৫ কিলোমিটার দুরে অবস্থিত। উপজেলা সদর থেকে যাতায়াত ও যোগাযোগ ব্যবস্থাও অবর্ণনীয় খারাপ।
সরেজমিনে সিন্দুকছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, একটি জীর্ণশীর্ণ টিনশেড ভবণে পাঠদান চলছে। বিদ্যালয়ের একটি টিনশেড ভবণে রয়েছে চারটি শ্রেণি কক্ষ। ভবণের প্রতিটি কক্ষের মেঝেতে ও দেওয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে। গাছের খুঁটি দিয়ে দেয়ালের ঠেস দেওয়া হয়েছে ধস ঠেকানোর জন্য। এই ভবণের পাশেই টিনের ছাউনি ও বাঁশের বেড়া দিয়ে আরেকটি কক্ষ তৈরি করা হয়েছে। ওই কক্ষের ছাদের নীচে সিলিং না থাকায় সুর্যের তাপে উত্তপ্ত হয়ে উঠে পুরো কক্ষ। মেঝেতে বিছানো রয়েছে ইট। তাও শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশী হওয়ায় গাদাগাদী করে বসতে হয়।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জগদীশ চন্দ্র ত্রিপুরা জানান, বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৭১৫, স্থায়ী শিক্ষকের সংখ্যা ছয় ও খন্ডকালীন শিক্ষকের সংখ্যা আট জন। শ্রেণী কক্ষ রয়েছে পাঁচটি। তিনি আরো বলেন, শ্রেণি কক্ষের অভাবের কারণে পাঠদান ব্যহত হচ্ছে। যে পাঁচটি শ্রেণিকক্ষ রয়েছে তার একটির মাঠি ঢেবে গেছে। ওই কক্ষে ফাটলও ধরেছে। অবস্থা সামাল দিতে মুল ভবণের পাশেই একটি টিনের ছাউনি ও বাঁশের বেড়া দিয়ে কক্ষ নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু টাকার অভাবে সেটির কাজও পুরোপুরি সম্পন্ন হয়নি। অসমাপ্ত অবস্থায় এই ঘরেই পাঠদান করতে হচ্ছে।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সিন্দুকছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান সুইনুপ্রু চৌধুরী জানান, দুর্গম ও দরিদ্রপীড়িত এবং শিক্ষা-দীক্ষায় অনগ্রসর এলাকায় শিক্ষার আলো পৌঁছে দিতে ১৯৯৩ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়ের ভবনগুলি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এগিয়ে না এলে বিদ্যালয়টির ভবণ সংষ্কার করা সম্ভব নয়।
মহালছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সোনারতন চাকমা বলেন, সিন্দুকছড়ি ইউনিয়নের যোগাযোগ ও যাতায়াত ব্যাবস্থা খারাপ হওয়ায় বিদ্যালয়ের এই করুণ দশা। যোগাযোগ ও যাতায়াত ব্যবস্থার জন্য সড়ক মেরামত এর ব্যাপারে উচ্চ পর্যায়ে বার বার ধরণা দিয়ে কোন কাজ হয়নি। এদিকে উপজেলা পরিষদ তহবিলেও পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় বিদ্যালয়টি সংষ্কার করা যাচ্ছেনা। বিদ্যালয়টি রক্ষায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ও পার্বত্য জেলা পরিষদ এগিয়ে আসবেন বলে এমন প্রত্যাশা করেন তিনি।