সিপিবির নতুন সাধারণ সম্পাদক চট্টগ্রামের শাহ আলম

0
41

কংগ্রেসের সাত মাসের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সাধারণ সম্পাদক পদে পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)।
সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাহ আলমকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে; কংগ্রেসে নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদকে করা হয়েছে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য।
‘অসুস’তাজনিত’ কারণে জাফর আহমেদ অব্যাহতি চাওয়ায় দলের কেন্দ্রীয় কমিটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে রোববার সিপিবির এক সংবাদ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমের সঙ্গে এক মেয়াদে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের পর গত বছরের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত কংগ্রেসে পুনর্নির্বাচিত হয়েছিলেন মৌলভীবাজার থেকে আসা জাফর।
নতুন সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম দীর্ঘদিন ধরে সভাপতিমণ্ডলীতে রয়েছেন। তার বাড়ি চট্টগ্রামে।
গত শুক্র ও শনিবার সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির দু’দিনের সভায় সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দনকে সহকারী সাধারণ সম্পাদক পদে আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সাবেক ছাত্রনেতা চন্দনের পদে পরিবর্তনের সঙ্গে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হিসেবে এসেছেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন, যিনি গত বছর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সিপিবির প্রার্থী ছিলেন।
কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রুহিন হোসেন প্রিন্স, আহসান হাবিব লাবলু ও জলি তালুকদারকে কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক মনোনীত করা হয়েছে।
তাদের সঙ্গে সিলেট জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সুমন এবং খুলনা জেলার অরুণা চৌধুরী অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে।
সিপিবি সভাপতি সেলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সাংগঠনিক রিপোর্ট ও রাজনৈতিক প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার পর এই সিদ্ধান্তগুলো গৃহীত হয় বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
সভায় রাজনৈতিক প্রস্তাব উত্থাপন করেন বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক জাফর আহমেদ। এতে বলা হয়, বর্তমান সরকার দক্ষিণপনি’ সামপ্রদায়িক শক্তির কাছে ‘নতি স্বীকার করেছে’।
এক্ষেত্রে হেফাজতে ইসলামের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে পাঠ্যপুস্তক থেকে বিভিন্ন লেখা বাদ দেওয়া, কওমি মাদ্রাসার ডিগ্রিকে মাস্টার্সের সমমর্যাদা দেওয়া এবং সুপ্রিম কোর্টের সামনে স’াপিত ভাস্কর্য অপসারণকে উদাহরণ টেনেছে বাম দলটি।
রাজনৈতিক প্রস্তাবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু এবং দলীয় প্রভাবমুক্ত করার জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
একইসঙ্গে হাওর অঞ্চলে জলমহালের ইজারা বাতিল করে ভাসান পানিতে মাছ শিকারের অধিকার উন্মুক্ত করার পাশাপাশি অকাল বন্যায় বিপর্যস্ত কৃষকদের কৃষিঋণ মওকুফ এবং আগামী ফসল না উঠা পর্যন্ত চাল ও নগদ অর্থ সহায়তা চালু রাখার দাবি জানানো হয়।