সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল বহালের দাবি

0
75

জাতীয় বেতন স্কেলে বৈষম্য নিরসনে সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল বহালের দাবি জানিয়েছে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি। বুধবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল বহালের দাবিসংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ এর মাধ্যমে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের সদস্যরা বৈষম্য ও অবনমনের শিকার হয়েছে।

লিখিত বক্তব্যে সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি শাহ মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, বেতন কাঠামোতে ‘টাইম স্কেল’ ও ‘সিলেকশন গ্রেড’ বাতিল করে অধ্যাপকদের তৃতীয় গ্রেড থেকে চতুর্থ গ্রেডে অবনমন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রতিযোগিতামূলক বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে অন্যান্য ক্যাডারের মতো শিক্ষা ক্যাডারে একজন প্রভাষক যোগদান করেন। পদোন্নতির সব শর্ত পূরণ করেও পদের অভাবে পদোন্নতি দেওয়া সম্ভব হয় না। তাই সংশ্লিষ্ট্ কর্মকর্তার আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে দিতে এক বা দুই গ্রেড উপরের স্কেলে সিলেকশন গ্রেডের মাধ্যমে বেতন ভাতার সুবিধা দেওয়া হয়।

এছাড়া সহকারী অধ্যাপকরা নিয়ম অনুযায়ী তিন বছর পর সহযোগী অধ্যাপকে পদোন্নতি পাওয়ার কথা থাকলেও পদ স্বল্পতার কারণে হয়ে ওঠে না।

তিনি বলেন,‘এ কারণে চাকরির মেয়াদ ১০ বছর অতিক্রম করলে সিলেকশন গ্রেডের মাধ্যমে শিক্ষকদের ষষ্ঠ থেকে পঞ্চম গ্রেড প্রদান করা হয়ে আসছে। কিন্তু বর্তমান বেতন স্কেলে সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল বাতিল করায় সেটা আর থাকছে না। এতে শিক্ষকদের চতুর্থ ও পঞ্চম গ্রেড থেকে অবসরে যেতে হবে, যা শিক্ষক সমাজের জন্য মর্যাদাহানিকর।’

সংবাদ সম্মেলনে ছয়দফা দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো- মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান, এনসিটিবিসহ অনার্স-মাস্টার্স কলেজের অধ্যক্ষের পদ এক নম্বর গ্রেডে উন্নীতকরণ। এক নম্বর গ্রেডের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন পরিচালক, শিক্ষাবোর্ড সচিব, এনসিটিবি’র সদস্য ও কলেজের উপাধ্যক্ষদের পদকে দুই নম্বর গ্রেডে উন্নীতকরণ।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সচিব জহিরুল হক স্বপন, সদস্য নূরুল বাশার, আনোয়ার
সাদাত কামাল হোসেন ও সরকারি হাজী মোহাম্মদ মহসিন কলেজের রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ইদ্রিস আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।