সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালনের হুঁশিয়ারি

0
87

দ্রুততম সময়ের মধ্যে অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামো সংক্রান্ত প্রকাশিত গেজেটের দ্রুত সংশোধন এবং প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না করলে সোমবার (১১ জানুয়ারি) থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি (কমপ্লিট সাটডাউন) পালনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষকেরা।
দাবি না মানলে সোমবার থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতিত
চলমান কর্মবিরতির পঞ্চম দিনে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চবির বুদ্ধিজীবী চত্বরে অবস্থান কর্মসূচিতে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি প্রত্যাহার করবেন না বলেও অঙ্গীকার করেন তারা।

চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবুল মনছুরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ড. কাজী খসরুল আলম কুদ্দুসীর সঞ্চালনায় এ সময় বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. কামরুল হুদা, শিক্ষক সমিতির সহসভাপতি অধ্যাপক ড. শ্যামল রঞ্জন চক্রবর্তী, বনবিদ্যা ইনিস্টিটিউটের সভাপতি অধ্যাপক ড. খালেদ মিসবাহুজ্জামান, প্রাণরসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. দ্বৈপায়ন সিকদার, মাইক্রোবায়ালজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. তৌহিদ হোসেন, দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. ইকবাল শাহীন খান, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক ড. নাজনীন নাহার ইসলাম, আইন বিভাগের শিক্ষক জসিম আলী চৌধুরী প্রমুখ।

সভায় বক্তারা অষ্টম বেতন কাঠামোর গেজেটে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সপ্তম জাতীয় বেতন কাঠামোর অনুরূপ সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল বহাল রাখা, সপ্তম জাতীয় বেতন কাঠামোতে বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধা কোনোভাবে না কমানো ও অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামোতে যে সুপার গ্রেড সৃষ্টি করা হয়েছে তাতে সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্ত অধ্যাপকদের মধ্য থেকে একটি অংশকে উন্নীত করার আশ্বাসের প্রতিফলন না হওয়ায় এবং সর্বোপরি শিক্ষকদের অবস্থানগত মর্যাদা ক্ষুণ্ন করায় তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেন।

পাশাপাশি সরকারি টাকায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চরিত্র হননের হীন মানসে প্রেস রিলিজ জারি করা হয়েছে মন্তব্য করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

অর্থমন্ত্রণালয় থেকে শিক্ষকদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে জারিকৃত প্রেস রিলিজের সমালোচনা করে বক্তারা আরও বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষকতার সুযোগ খুবই সীমিত এবং মোট পাঠদানকারী শিক্ষক ২-৩ শতাংশের বেশি নন এবং তারা সেখানে জ্ঞানের বিকাশেই ভূমিকা পালন করে থাকেন।

তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ক্লাস রুমে ক্লাস নিয়ে থাকলেও একটি ক্লাসের জন্য একজন শিক্ষকের কার্য সময়ের পর এমনকি রাত জেগেও প্রস্তুতি নিতে হয়। একটি গবেষণা প্রবন্ধ তৈরির জন্য একজন শিক্ষককে মাসের পর মাস গবেষণা করতে হয়, নিরলস সময় ব্যয় করতে হয় গবেষণাগারে। পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নের কাজটি সাধারণত শিক্ষকেরা কার্য সময়ের পরই করে থাকেন। শিক্ষাজট নিরসনকল্পে শিক্ষকেরা সাপ্তাহিক ছুটি ও অন্যান্য ছুটির দিনেও অনেক ক্ষেত্রে কাজ করে থাকেন।