সীতাকুন্ডে শেষ পর্যায়ে এসে জমে উঠেছে কোরবানির বাজার

0
86

নন্দন রায়, সীতাকুন্ড (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা ঃ সীতাকুন্ডে পবিত্র ঈদ উল আযহা উপলক্ষে কোরবানীর গরু-ছাগলের বাজার মঙ্গলবার থেকে জমে উঠেছে। এর আগে বাজার বসলেও ক্রেতার সমাগম তেমন একটি চোখে পড়েনি। অনেকেই বাজার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষনে এসে আবার চলে যান। প্রতিদিনই উপজেলায় তিন-চারটি বাজার বসছে। কোরবানির দিন ঘনিয়ে আরমাত্র দুই দিন বাকী। তাই মঙ্গলবার থেকে উপজেলার প্রতিটি বাজারে ক্রেতাদের উপছে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। সাথে সাথে বিক্রিও বাড়ছে বলে বাজার সূত্রে জানা গেছে।

গত মঙ্গল ও আজ বুধবার সদরে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী মহন্থর হাট এবং ফকির হাট বাজারে গিয়ে দেখা যায়, পুরো মাঠ জুড়ে রয়েছে গরু-ছাগল। দেশি-বিদেশি মিলিয়ে প্রায় ৩০ হাজার গরু উঠে এই দুই বাজারে। খাসীতো রয়েছেই।

মহন্থর হাটের ইজারাদার নাছির জানান, ফেনী, রামগড় ও কুমিল্লার কিছু অঞ্চল থেকে এই হাটে গরু এসেছে। পাশাপাশি এ এলাকার বাজার গুলিতে ভারতীয় গরুও আনছে বিক্রেতারা। প্রথম প্রথম গরুর দাম লাখ কিংবা লাখের উপরে হাঁকালেও বর্তমানে লাখের নিচে প্রায় গরুর দর নেমে আসায় ক্রেতাগণ নাগালের মধ্যে ক্রয় করতেছে গরু। আবার কাউকে দাম যাচাই-বাছাই করতেও দেখা গেছে।

সীতাকুন্ড বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম বাহার জানায়, তিনি একটি ভারতীয় গরু ৫০ হাজার টাকা বলেছেন। গরুর দাম স্থিতিশীল রয়েছে বলে তিনি জানান। তবে দুই হাটের ইজাদারদের পক্ষ থেকে জানা গেছে, উপজেলার বাজার গুলোতে দালালদের আনাঘোনা বেশি। এতে অনেক ক্রেতাই দালালদের খপ্পরে পড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। আবার এবার বাজারে টাকা আসল-নকল যাচাই করার মেশিন থাকায় বিক্রেতাদের সুবিধা হয়েছে বলে বিক্রেতারা জানান।

এই দুই বাজার ছাড়াও উপজেলার বড়দারোগারহাট, শেখেরহাট, মীরেরহাট, মুরাদপুর বাংলাবাজার, বাঁশবাড়ীয়া, কুমিরা, মাদামবিবিরহাট, ফৌজদারহাট ও ভাটিয়ারীতে গরুর হাট রয়েছে। এখানে প্রতিদিনই পশু বেচাকেনা হচ্ছে। ব্যবসায়ী নেতা আশরাফ উদ্দিন জানান, তিনি আগে ভাগে গরু কিনতে ভয় পেয়েছেন। কারণ ইনজেকশন দেয়া গরু কিনলে মরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই তিনি এখন বাজারে এসেছেন গরু কিনতে। তবে বৈধ বাজার ছাড়াও অনেক এলাকায় ছোট ছোট অবৈধ গরুর বাজার রয়েছে। যেখানে প্রত্যেক ছোট বাজার গুলিতে ৫০ থেকে ১০০টি গরু কেনা বেচা হয়। এই সকল গরু এলাকার কিছু মৌসুমী ব্যবসায়ী দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে এনে একমাস যাবত লালন-পালন করে। কারণ তাদের মতে ক্রেতাদের দেশী গরুই পছন্দ বেশী।

সীতাকুন্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, অবৈধ গরু বাজারের সংবাদ আমাদের কাছে নেই। বস্তুনিষ্ট তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব। তবে প্রত্যেক বৈধ গরু বাজার গুলিতে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার বিধান করা হয়েছে। যাতে ক্রেতাগণ নির্ভয়ে বাজারে গিয়ে গরু কিনতে পারেন ও বিক্রেতারাও যাতে নিরাপদে বিক্রয় করে টাকা পেতে পারেন।