সীমানা দেওয়াল গুঁড়িয়ে পার্কের ঢুকে পড়ছে বন্যহাতি

0
50

কক্সবাজারের চকরিয়ার ডুলাহাজারাস্থ বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের সীমানা দেওয়াল গুঁড়িয়ে প্রতিনিয়ত বন্যহাতির দল পার্কের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়ছে। খাবারের সন্ধানে এসে এসব বন্যহাতি এদিক-ওদিক ছুঁটছে। এতে আতঙ্কে রয়েছেন পার্কে আগত দর্শনার্থীরা। যেসব এলাকায় বন্যহাতির উপদ্রব দেখা দিচ্ছে তার আশপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকা দর্শনার্থীদের প্রবেশে বারণ করছে কর্তৃপক্ষ। এমনকি ওইসব এলাকায় পার্ক কর্তৃপক্ষ লাল পতাকাও উঁচিয়ে দিয়ে দর্শনার্থীদের সতর্ক করে দিচ্ছে। যদিও এখনো পর্যন্ত কোন দুর্ঘটনার সংবাদ পাওয়া যায়নি। তবে গত কয়েকদিন ধরে পার্কের সীমান্ত এলাকায় বন্যহাতিগুলো একবার ঢুকছে, আবার বের হয়ে পড়ছে।
এ ব্যাপারে সাফারি পার্কের তত্ত্বাবধায়ক (রেঞ্জার) কে এম মোর্শেদুল আলম বলেন, সাফারি পার্ক প্রতিষ্ঠা এবং সীমানা দেওয়াল নির্মাণ করার পর থেকে বন্যহাতির দল প্রতিনিয়ত আক্রমণ করে থাকে। এবারও তাই ঘটছে। প্রতিবছরের মতোই এবারও গত কয়েকদিন আগে থেকে পার্কের অভ্যন্তরে একদল বন্যহাতি ঢুকে পড়েছে। এসব বন্যহাতি খাবারের সন্ধানে এসে পার্কের পূর্বাংশে সীমান্ত এলাকায় সীমানা দেওয়াল গুঁড়িয়ে দিয়ে পার্কের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়ে।
তিনি আরো জানান, যেভাবে প্রচার করা হচ্ছে, আসলে ততটা কাছে আসেনি বন্যহাতির দলটি। এর পরেও পার্ক কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে। পার্ক কর্মকর্তা মো. মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী জানান, বন্যহাতি পার্কের সীমান্ত দেওয়াল ভেঙে ঢুকে পড়লেও এখনো পর্যন্ত বড় ধরণের কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি। পার্ক কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে যথেষ্ট সতর্ক রয়েছে এবং পার্কে আগত দর্শনার্থীদের মাঝে যাতে কোন ধরনের আতঙ্ক না ছড়ায় সেজন্য পার্কের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিরবচ্ছিন্নভাবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও যেসব স্থানে বন্যহাতির উপদ্রব লক্ষ্য করা যাচ্ছে তার আশপাশের অন্তত দেড় কিলোমিটার এলাকায় দর্শনার্থীদের যেতে দেওয়া হচ্ছে না। পাশাপাশি সেখানে লাল পতাকা উঁচানো ছাড়াও পার্কে প্রবেশের সময় দর্শনার্থীদের এ বিষয়ে সচেতনতামূলক পরামর্শ দিচ্ছে সংশ্লিষ্টরা। পার্কে আগত কয়েকজন দর্শনার্থী বলেন, বন্যহাতি পার্কের অভ্যন্তরে ঢুকছে এমন খবর শুনলেও বেড়ানোর সময় তেমন কিুছ চোখে পড়েনি।