সেই জরিমানা দিতেই হচ্ছে ফেইসবুককে

0
186

দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পর এবার কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেঙ্কারিতে নিজেদের ভূমিকার জন্য ৬ লাখ ৪৭ হাজার ৮৪০ ডলার জরিমানা দিতে হচ্ছে ফেইসবুককে।

শুরুতে জরিমানা দিতে রাজি হয়নি প্রতিষ্ঠানটি। এই জরিমানার বিরুদ্ধে আবেদনও করেছিল। যার ফলে তথ্য কমিশনার অফিস তার নিজস্ব পাল্টা আপিল অনুসরণ করে।

ইনিশিয়াল কয়েন অফারিং (আইসিও)–এর ডেপুটি কমিশনার জেমস ডিপ্পল জনস্টোন বলেছেন, আইসিওর প্রধান উদ্বেগ হলো যুক্তরাজ্যের নাগরিক তথ্য ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার মারাত্মক ঝুঁকির মুখোমুখি হয়েছিল। ব্যক্তিগত তথ্য এবং ব্যক্তিগত গোপনীয়তার সুরক্ষা কেবল ব্যক্তির অধিকারের জন্য নয়, একটি শক্তিশালী গণতন্ত্র সংরক্ষণের জন্য মৌলিক গুরুত্বের বিষয়।

ফেইসবুকের আইনজীবী হ্যারি কিনমনথ উল্লেখ করেছেন, এই অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপাররা এমন কেলেঙ্কারির পরে অ্যাক্সেস করতে পারে এমন তথ্য অ্যাপ্লিকেশনকে সীমাবদ্ধ করতে সামাজিক নেটওয়ার্কগুলি পরিবর্তন করেছে।

তিনি আরও বলেন, আইসিও বলেছে ইইউতে ফেইসবুক ব্যবহারকারীদের ডেটা কেমব্রিজ অ্যানালিটিকাতে রিপ্লেসমেন্ট হয়েছিল এমন কোনো প্রমাণ তারা খুঁজে পায়নি।

ব্যক্তিত্ব যাচাইমূলক কুইজের মাধ্যমে গবেষক ডক্টর আলেক্সান্ডার কোগান এবং তার প্রতিষ্ঠান জিএসআর ৮ কোটি ৭০ লাখ ফেইসবুক ব্যবহারকারীর ডেটা হাতিয়ে নেন। পরে ওই ডেটাগুলোর একাংশ হস্তান্তর করা হয় লন্ডন-ভিত্তিক রাজনৈতিক বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার কাছে।

আইসিও’র দাবি অনুযায়ী, ব্যবহারকারীদের তথ্য সুরক্ষার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে কাজ করেনি বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক মাধ্যম ফেইসবুক।

ওয়াশিংটন ডিসি’র অ্যাটর্নি জেনারেল মামলা করেছেন ফেইসবুকের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি সিকিউরিটিস অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, ফেডারেল ট্রেড কমিশন এবং ডিপার্টমেন্ট অফ জাস্টিস-এর তরফ থেকেও মামলা রয়েছে ফেইসবুকের বিরুদ্ধে।

২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় ফেইসবুকের কাছ থেকে ফাঁস হওয়া অন্তত ৫ কোটি গ্রাহকের তথ্য নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে ব্যবহার হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। গত বছরের মার্চে কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার ডেটা কেলেঙ্কারি সামনে আসে।