চুয়াত্তরের আলোচিত বাসন্তীর ছবি ব্যবহার করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ফেঁসে গেছেন রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান যমুনা অয়েল কোম্পানির এক শ্রমিক নেতা। মো.ইয়াকুব নামে ওই শ্রমিক নেতার বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ (ক) ধারায় আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে।
সোমবার (৫ অক্টোবর) চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম ফরিদ মিয়ার আদালতে মামলাটি দায়ের করেন ইফতেখার কামাল খান নামে সংক্ষুব্ধ এক ব্যক্তি। মামলার বাদি আগে যমুনা অয়েলে কর্মরত ছিলেন।
অভিযুক্ত মো.ইয়াকুব যমুনা অয়েল কোম্পানি লেবার ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক। যমুনায় তিনি উর্ধ্বতন কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কর্মরত আছেন।
মামলায় বাদিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেন, আদালত আরজিতে আনা অভিযোগ আমলে নিয়ে কোতয়ালি থানার ওসিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষের সময় কুড়িগ্রামের প্রত্যন্ত এলাকার বাক প্রতিবন্ধী নারী বাসন্তীর জাল পরিহিত ছবি ছাপা হয়েছিল দৈনিক ইত্তেফাকে। অভাবের তাড়নায় লজ্জা নিবারণ করতে না পেরে মাছ ধরার জাল পরে আছেন-ছবিটি এমন ধারণাই তুলে ধরা হয়েছিল। ছবিটি সেসময় দেশ-বিদেশে আলোড়ন তুলেছিল। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ এই ছবিকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে বলে অভিযোগ আছে। এছাড়া ছবিটি সাজানো এবং বিতর্কিত বলেও প্রচার আছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলার আরজিতে বলা হয়েছে, শ্রমিক নেতা ইয়াকুব চলতি বছরের ২৯ আগস্ট ফেসবুকে সেই বাসন্তীর সঙ্গে তার একটি ছবি আপলোড করেন। এর সঙ্গে দেয়া ফেসবুক পোস্টে ইয়াকুব দাবি করেন, তার সঙ্গে বাসন্তীর দেখা হয়েছে। পোস্টে তিনি লেখেন, ‘৭৪ এ বর্হিবিশ্বে আলোচনার ঝড় তোলা বাসন্তী আজ প্রতিবন্ধি, নির্বাক। ’ তিনি বাসন্তীকে ‘কালের সাক্ষী’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তার জন্য সাহায্য কামনা করেন।
মামলায় বাদি দাবি করেছেন, বাসন্তী এখন বেঁচে নেই। তার ছবি সুপার ইম্পোজ করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ইয়াকুব ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য ইয়াকুব এ কাজ করেছেন বলেও বাদি দাবি করেছেন।
তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ (ক) ধারায় অভিযুক্তের এসব কর্মকান্ডের প্রতিকার চেয়েছেন বাদি।