একুশে পদক প্রাপ্ত সমাজ বিজ্ঞানী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনা পিতার মতোই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং জাতির সোনালী ভবিষ্যত বিনির্মাণে লড়ে যাচ্ছেন।’
তিনি বলেন, ‘৩৩ বছর আগে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে জাতি ঘোর অমানিশায় অস্তিত্বের দিশা খুঁজে পেয়েছিলো। সেদিন থেকেই তিনি মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তির অবলম্বন হয়ে উঠেছেন।’
শনিবার বিকালে নগরীর মুসলিম ইনস্টিটিউট হলে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. অনুপম সেন বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা জনগণের সাংবিধানিক ও মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় সচেষ্ট বলেই ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি চট্টগ্রামে এবং ২০০৪ সালের ২১ আগষ্ট ঢাকায় তাঁকে হত্যার চেষ্টা হয়েছিল। তখন তিনি প্রাণে বেঁচে গেলেও ৫০ জনের বেশী নেতা-কর্মী প্রাণ হারান। বাংলাদেশে আর কোন নেতার বিরুদ্ধে এত বেশি মৃত্যুর ঝুঁকি নিতে হয়নি।’
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘বাঙালি জাতি বিশ্ব সভায় মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে শিখেছে। আমরা ৭১ সালে ঐক্যবদ্ধ ভাবে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। আমাদের এই অপরাজেয় শক্তিকে সুসংহত করে জঙ্গিবাদ, যুদ্ধাপরাধী ও ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ তৈরির শপথ নিতে হবে।’
সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘১৯৮১ সালের ১৭ মে শেখ হাসিনা দেশে ফিরেন। সেদিন মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের অবস্থা ছিল সঙ্গীন এবং দল ছিল কোন্দলে বহুধা বিভক্ত, তার উপর দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র। জননেত্রী শেখ হাসিনা তার সবল মানসিকতা দিয়ে সকল প্রতিকূলতা জয় করে নিয়েছেন।’
নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সুনীল কুমার সরকার, খোরশেদ আলম সুজন, জহিরুল আলম দোভাষ, আলতাফ হোসেন বাচ্চু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, মশিউর রহমান, আবু তাহের, সহ-সম্পাদক কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী প্রমুখ।