স্বর্ণ ব্যবসায়ী গ্রাহকদের কোটি টাকা নিয়ে উধাও

0
1405

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ভাদুর ইউনিয়নের কেথুড়ী বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী সুবির চন্দ্র কুরি গ্রাহকদের প্রায় দেড় কোটি টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

রোববার ওই ব্যবসায়ীকে বাড়িতে না পেয়ে ও বাজারে এসে ওই ব্যবসায়ীর দোকান বন্ধ দেখে ভুক্তভোগীরা পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হন।

ভাদুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) নুরুল হুদা খোকন জানান, রাতের আঁধারে সুবির চন্দ্র কুরি এলাকার মানুষের প্রায় দেড় কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে। এমনকি তার বাড়িটিও বিক্রি করে দিয়েছেন। তার পালিয়ে যাওয়ার খবরে প্রতারিত লোকজন কান্নায় ভেঙে পড়ছেন। অনেকে অসুস্থ হয়েছে।

কয়েকজন ভুক্তভোগীরা জানায়, উপজেলার চিলকা চাঁদপুর গ্রামের মৃত মাখন কুরির ছেলে সুবের চন্দ্র কুরি ৫ বছর আগে কেথুড়ী বাজারে জুয়েলারি দোকান দেন। তিনি সেখানে বন্ধকি ব্যবসায়ও করতেন। সুবির বিভিন্ন সময় লোভনীয় অফার দেখিয়ে কেথুড়ী গ্রামের জামাল মিয়ার ২০ লাখ, সিরাজ মিয়ার ১৫ লাখ, পারভিন বেগমের ৫ লাখ ও ৮ ভরি স্বর্ণ, পিরুর ২ লাখ, উত্তর গ্রামের সিরাজ কেরানির ৫ লাখ, মনা মিয়ার ৪ লাখ ৫০ হাজার, ফারুক হোসেনের ৪ লাখ, তাজুল ইসলাম ৫ লাখ ও ৫ ভরি স্বর্ণ, ভাদুর গ্রামের অনিল দাসের ১৫ লাখ, বাবুল দাসের ৪ লাখ, বাবলুর ১২ লাখ, জাহাঙ্গীরের ৮ লাখ, কামালের ৪ লাখ, হান্নানের ২ ভরি স্বর্ণ, আকলিমার বেগমের ৫ ভরি স্বর্ণ, রিনা বেগমের ২ ভরি স্বর্ণ, আয়েশা বেগমের ১ ভরি স্বর্ণসহ প্রায় দেড় কোটি টাকার হাতিয়ে নিয়েছে। গত ৫-৬ দিন যাবৎ তার দোকানটি বন্ধ রয়েছে।

রোববার তার বাড়িতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কয়েকদিন আগে সে (সুবির) সোনাপুর বাজারে দোকান নেয়ার কথা বলে বাড়িটি বিক্রি করে পরিবারের লোকজনকে নিয়ে চলে গেছেন। তবে সোনাপুর বাজারে তিনি কোন দোকান নেননি বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

ভুক্তভোগী জামাল মিয়া ও অনিল চন্দ্র দাস জানায়, তাদের সর্বনাশ করে সুবির রাতের আঁধারে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। এখন তাদের টাকার কী হবে ?
ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল হুদা খোকনের ধারণা, সুবির পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ভারতে পাড়ি জমিয়েছে। এজন্য তিনি আগেই কৌশলে বাড়িও বিক্রি করে দিয়েছে।
এ ব্যাপারে রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোতা মিয়া বলেন, ঘটনাটি কেউ পুলিশকে জানায়নি। তবে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।