চা আইনের খসড়া অনুমোদন

0
99

শাস্তির বিধান বাড়িয়ে চা আইন-২০১৫ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। এছাড়া বাংলাদেশ চা শ্রমিক কল্যাণ তহবিল আইন-২০১৫ এর খসড়ারও নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে আইন দুটির খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইয়া সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আগে এ সংক্রান্ত আইনে শাস্তির বিধান বিস্তারিতভাবে বলা ছিল না। শাস্তির পরিমাণও কম ছিল। আইনটি হালনাগাদ করে শাস্তির বিধান সর্বনিম্ন ৬ মাস এবং সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদ-ের বিধান করা হয়েছে। জরিমানার বিধান আগেও ছিল, এখনও রয়েছে। তবে কী পরিমাণ জরিমানা হবে, তা অন্যান্য আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ভেটিংয়ের সময় চূড়ান্ত করা হবে। সামরিক শাসনামলের টি অর্ডিন্যান্স-১৯৭৭ এবং টি অ্যামেন্ডমেন্ট অর্ডিন্যান্স-১৯৮৬ অধ্যাদেশ আইনে পরিণত করার জন্যই এ উদ্যোগ।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, বর্তমানে চা আবাদের জন্য ১ লাখ ১৬ হাজার হেক্টর জমি বরাদ্দ রয়েছে এবং এর মধ্যে ৫৮ হাজার হেক্টর জমিতে চা চাষ হচ্ছে। চা শিল্পের উন্নয়ন ও বিকাশে আইনটি হালনাগাদ করা হয়েছে। চা শিল্পের উন্নয়নে সরকার চা বোর্ড করেছে। চা বোর্ড কীভাবে কাজ করবে, তা এ আইনে বলা হয়েছে। নতুন আইনে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন করা হয়নি; শুধু হালনাগাদ করা হয়েছে। আইনে চা বোর্ডে একজন নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্ত হবেন। তিনি হচ্ছেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার। আগে চট্টগ্রাম বিভাগের কমিশনার টি বোর্ডের সদস্য হিসেবে কাজ করতেন। তখন সিলেট বিভাগ হয়নি। সিলেট বিভাগ থেকে নতুন করে তাকে ওই পদে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
চা ২
বোর্ডের কাজের মধ্যে রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ও চায়ের গুণগত মান নির্ধারণে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে। আগের আইনে চা নিলামের কথা বলা ছিল। নতুন আইনে চা বিক্রির বিধান রাখা হয়েছে। আগের আইনে একটি উপদেষ্টা পরিষদ ছিল, তা বিলুপ্ত করা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, সামরিক শাসনামলের বাংলাদেশ চা শ্রমিক কল্যাণ ফান্ড অর্ডিন্যান্স-১৯৮৬ অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করতে বাংলাদেশ চা শ্রমিক কল্যাণ তহবিল আইন-২০১৫ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। তবে আগের আইন থেকে নতুন আইন করার সময় এখানে তেমন কোনো পরিবর্তন করা হয়নি বলে জানান তিনি।