স্যালুট ক্যাপটেন জাকারিয়া

0
259

এজাজ মাহমুদ::
জরুরি অবতরণ মানেই মহাঝুঁকি, মহাবিপদ। বড় দূর্ঘটনার আশংখা।
সময় মাত্র ৩ মিনিট। চাকাবিহীন অবস্থায় রানওয়েতে ছেচড়িয়ে চলতে গিয়ে এই সময়ের মধ্যেই যদি উড়োজাহাজ থামানো যায় তবেই রক্ষা। এর বেশি সময় এগুলেই বিস্ফোরেনর আশংখা থাকে। এমন মহাঝুঁকি নিয়েই জরুরী অবতরণ করে ক্যাপটেন জাকারিয়া। ইউএস বাংলার বোয়িং ৭৩৭ উড়ােজাহাজর পাইলট।সামনের চাকা আটকে যাওয়ায় কক্সবাজার নামতে না পেরে জরুরী অবতরণের জন্য চলে আসেন চট্টগ্রাম। আসার পথে নিয়ম অনুযায়ী বাইরে ফেলে দিয়ে কমিয়ে ফেলেন তেল (আগুন না ধরার জন্য)। অন্যদিকে খবর পেয়েই দ্রুত সকল প্রস্তুতি নেয় চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। রানওয়ের শেষ প্রান্তে পানি-ফোম ছিটিয়ে দেয়া হয় নির্ধারিত জায়গাটিতে, প্রস্তুত রাখা হয় ফায়ার সার্ভিস, এমবুলেন্স এবং উদ্ধারকারি দল। সাথে প্রস্তুত বিমানবাহিনীও। দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে। পিছনের চাকাগুলোর উপর ভর করে উড়োজাহাজটি রানওয়েতে নামান পাইলট।ক্যাপটেন জাকারিয়া। অনেকক্ষণ চলার পর নির্ধারিত জায়গায় এসে সামনের নোজ রানওয়েতে স্পর্শ করান। ছেচড়িয়ে কিছুদূর যাবার পর থেমে যায় উড়োজাহাজ। সেই ৩ মিনিটের আগেই থামিয়ে ফেলতে সক্ষম হন তিনি। দ্রুত খুলে খুলে যায় বিমানের ৬ টি জরুরী দরজা। নেমে পড়ে চলতে স্লাইড।নিরাপদে বেরিয়ে আসে ১৬৪ যাত্রী আর ৭ ক্রু। রক্ষা পায় অমূর্য জীবনগুলো।
অবতরনের সময় বিমানবন্দরে উপস্থিত সংশিলষ্ট অনেকের সাথে কথা বলে জানা যায়, পাইলটের অসাধারণ দক্ষতায় ইউ এস বাংলার বোয়িংটি বড় দূর্ঘটানা থেকে বেঁচে গেছে। অভিজ্ঞতা ও কৌশল কাজে লাগিয়ে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলা করে উড়োজাহাজটি নিরাপদে অবতরণ করান ক্যাপটেন জাকারিয়া। স্যালুট এই দক্ষ পাইলটকে। শুকরিয়া সৃষ্টিকর্তাকে বড় দূর্ঘটনা থেকে আমাদের রক্ষা করার জন্য।https://www.facebook.com/enamhiderctg/videos/10215735512528324/?t=1