সৎ আর্দশ রাজনৈতিক নেতার পথিকৃত বেবী চৌধুরী

0
69

শফিউল আলম, রাউজান ঃ রাউজানের সৎ আদর্শবান রাজনৈতিক নেতা শফিকুল ইসলাম চৌধুরী বেবী । রাউজান উপজেলা আওয়ামী লীগের আমৃত্যু সভাপতি রাউজান পৌরসভার সাবেক মেয়র মরহুম শফিকুল ইসলাম চৌধুরী রাউজান পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের সুলতানপুর ছিটিয়া পাড়া হাসমত আলী চৌধুরীর বাড়ীতে জম্মগ্রহন করেন ১৯৩৯ সালের ১১ জানুয়ারী । তার পিতার নাম মরহুম মফজ্জল আহম্মদ চৌধুরী । মাতার নাম আঞ্জুমান আরা চৌধুরী । বাল্যকালে বাবা ও মা আদর করে বেবী বলে ডাকতো এই কারনে মরহুম শফিকুল ইসলাম চৌধুরী বেবী চৌধুরী নামে পরিচিত । মরহুম শফিকুল ইসলাম চৌধুরী বেবী তার পিতা মাতার আদরে প্রাথমিক পাঠ শেষ করে রাউজান আর আর এ সি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক রাউজান কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক বোয়ালখালী কানুগগো পাড়া স্যার আশুতোষ কলেজ থেকে স্œাতক ডিগ্রি অর্জন করেন । ছাত্রজীবনে ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়ে । স্বাধীনতা সংগ্রামের পর বঙ্গবন্দ্বুর দেশপ্রেমম ত্যাগ, জাতীয়বাদ এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উদ্বৃদ্ধ হয়ে অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদের হাত ধরে আওয়ামী লীগে যোগদান করে ১৯৭৩ সালে । ১৯৮৬ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত সময়ে রাউজান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ১৯৯১ সাল থেকে মৃত্যুর পুর্বে পর্যন্ত সময়ে রাউজান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন । অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ^াসী মরহুম শফিকুল ইসলাম চৌধুরী বেবী রাউজান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও সভাপতির দায়িত্ব পালন কালে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির রোষানলে পড়ে । তার ব্যবসা প্রতিষ্টান রাউজানের মুন্সির ঘাটায় সুর্বনা প্রিন্টাস আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয় স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির লালিত সন্ত্রাসীরা । কয়েকদপে তার ব্যবসা প্রতিষ্টানে হামলা করে সন্ত্রাসীরা । স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির রোষানলে পড়ে ও স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির সাথে আপোষ করেনি মরহুম শফিকুল ইসলাম চৌধুরী বেবী । রাউজানের বিভিন্ন এলাকা থেকে অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হয়ে নির্যাতিত মানুষ মরহুম শফিকুল ইসলাম চৌধুরী বেবীর বাড়ীতে ও রাউজানের মুন্সির ঘাটায় উপজেলা আওয়ামী লীগের অফিসে । নির্যাতিত মানুষের কথা শুনে নির্যাতনকারী যে হউক না কেন তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করতো মরহুম শফিকুল ইসলাম চৌধুরী বেবী। মরহুম শফিকুল ইসলাম চৌধুরী বেবী রাজনীতি করার কারনে তার বিপুল পরিমাণ পৈতৃক সম্পতি বিক্রয় করে সংগঠনের কাজে ব্যায় করেন । আওয়ামী লীগ ৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল ও ২০০৬ সাল থেকে কয়েক দপে ক্ষমতায় আসলে ও মরহুম শফিকুল ইসলাম চৌধুরী বেবী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসাবে থানায় ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাছে গিয়ে কোন তদবীর করতে দেখা যায়নি । ১৯৯৬ সালে বর্তমান সাংসদ এবি এম ফজলে করিম চৌধুরীকে আওয়ামী লীগ থেকে রাউজান আসনে মনোয়নয়ন দিলে দলের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করে মরহুম শফিকুল ইসলাম চৌধুরী বেবী । মরহুম শফিকুল ইসলাম চৌধুরী বেবী ১৯৯৮ সালে রাউজান পৌরসভার প্রশাসক নিযুক্ত হয়ে সততার সাথে দায়িত্ব পালন করেন । পরবর্তী ২০০৪ রাউজান পৌরসভার নির্বাচনে রাউজান পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হয় মরহুম শফিকুল ইসলাম চৌধুরী বেবী। মরহুম শফিকুল ইসলাম চৌধুরী বেবী শুধু রাজনীতিতে নয় তিনি কৃষি কাজে অবদান রাখার ১৯৭৩ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্দ্বু শেখ মুজিবুর রহমান মরহুম শফিকুল ইসলাম চৌধুরী বেবীকে কৃষি পদক প্রদান করে । মরহুম শফিকুল ইসলাম চৌধুরী বেবী তার নিজের জমি দিয়ে তার ভাগ্নে ব্যবসায়ী ফরহাদ গনি চৌধুরী নয়নের অর্থায়নে সুলতানপুর ছিটিয়া পাড়া এলাকায় নির্মান করেন সাজিনা চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় । সাজিনা চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্টার পর থেকে এলাকার দরিদ্র পরিবারের ছেলে মেয়েদের বিনা বেতনে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সামগ্রী দিয়ে স্কুলে পাঠদান করাচ্ছেন । মরহুম শফিকুল ইসলাম চৌধুরী বেবী সাজিনা চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি, ছিটিয়া পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি, রাউজান ছালামত উল্ল্যাহ উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও রাউজান উপজেলা কমিনিউটি পুলিশিং কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন । মরহুম শফিকুল ইসলাম চৌধুরী বেবী আল্লামা সৈয়দ আহম্মদ সিরকোটির মুরিদান ও রাউজান উপজেলা গাউছিয়া কমিটির উপদেষ্টা পদে থেকে মৃত্যুর পুর্বে পর্যন্ত সময়ে রাজনীতির পাশাপাশি ইসলামের প্রচার প্রসারে কাজ করেছেন । হজব্রত পালন করে গত ২০১৬ সালে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন । হজ করে দেশে আসার পর পর গত ২০১৬ সালের ২৭ অক্টোবর ৭৮ বৎসর বয়সে মৃত্যুবরন করেন । ২০১৬ সালের ২৭ অক্টোবর বিকালে রাউজান কলেজ মাঠে মরহুম শফিকুল ইসলাম চৌধুরী বেবীর জানাজার নামাজে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে রাউজানের স্মরণকালের জানাজার নামাজ অনুষ্টিত হয় । জানাজার নামাজে হাজার হাজার মানুষ মরহুম শফিকুল ইসলাম চৌধুরী বেবীকে অশ্রুসিক্ত নয়নে শেষ বিদায় জানায় । মরহুম শফিকুল ইসলাম চৌধুরী বেবীর মৃত্যুর পর রেলপথ মন্ত্রনালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবি এম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি রাউজান কলেজের পশ্চিম পাশ^ থেকে শুরু হওয়া রাউজান নোয়াপাড়া সড়ক সেকসান -১ কে মরহুম শফিকুল ইসলাম চৌধুরী সড়ক হিসাবে নামকরন করেন । মরহুম শফিকুল ইসলাম চৌধুরী বেবীর মৃত্যুর পর তার পুত্র রাউজান উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সাইফুল ইসলাম চৌধুরী রানা সাজিনা চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি, ছিটিয়া পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি, রাউজান ছালামত উল্ল্যাহ উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করে শিক্ষা প্রতিষ্টান সমুহের ব্যাপক উন্নয়ন করে ও শিক্ষার মান উন্নয়ন করে আসছে । মরহুম শফিকুল ইসলাম চৌধুরী বেবীর পুত্র রাউজান উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সাইফুল ইসলাম চৌধুরী রানা বলেন, আমার পিতার আর্দশকে বুকে লালন করে শিক্ষার মান উন্নয়ন ও সমাজ সেবায় কাজ করছি ।