হজ নিবন্ধনের সময় বাড়ছে ১০ দিন

0
206

হজ নিবন্ধনের সময়সীমা আরও ১০ দিন বাড়ানো হচ্ছে। ১৫ মার্চের মধ্যে হজ নিবন্ধনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়। করোনাভাইরাসের কারণে প্রাক-নিবন্ধনকারী হজযাত্রীরা চূড়ান্ত নিবন্ধনে সাড়া দিচ্ছেন না।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ হাজার ৭৯৬ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬ হাজার ৯৬১ নিবন্ধন করেছেন। চলতি বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৭ হাজার ১৯৮ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ২০ হাজার জন পবিত্র হজে যাবেন। সে হিসাবে নিবন্ধনের সংখ্যা আশানুরূপ নয়। আর এ কারণে ২৫ মার্চ পর্যন্ত হজ নিবন্ধনের সময়সীমা বাড়ানো হবে। শিগগিরই এ বিষয়ে আদেশ জারি করবে ধর্ম মন্ত্রণালয়। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বেসরকারি হজ এজেন্সি মালিকদের সংগঠন ‘হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)’ এর সভাপতি এম শাহাদত হোসাইন তসলিম বৃহস্পতিবার যুগান্তরকে বলেন, ‘হজ নিবন্ধনের সময়সীমা ১৫ মার্চ পর্যন্ত রয়েছে। এর মধ্যে শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি রয়েছে।

করোনাভাইরাসের কারণে নিবন্ধনে কাঙ্ক্ষিত সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। তাই আমরা ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা সময় বাড়াবে। এ সময় ২৫ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (হজ) এবিএম আমিন উল্লাহ নূরী যুগান্তরকে বলেন, ‘আমরা হজ নিবন্ধনের সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শিগগিরই আদেশ জারি করা হবে।’

এর আগে রোববার ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহ সংবাদ সম্মেলন করে বলেছিলেন, যারা এবার হজে যেতে আগ্রহী, তাদের নভেল করোনাভাইরাসের কারণে দ্বিধায় না থেকে নিবন্ধন করে ফেলুন। নির্ভয়ে ব্যাংকে টাকা পরিশোধ করে ১৫ মার্চের মধ্যে নিবন্ধন সম্পন্ন করুন। করোনাভাইরাসের কারণে সতর্কতামূলকভাবে ওমরা ভিসা ইস্যু সাময়িক বন্ধ রেখেছে সৌদি আরব। এই নিষেধাজ্ঞা যে কোনো সময় উঠে যেতে পারে।

তখন হয়তো হজে যাওয়া সম্ভব না-ও হতে পারে। কারণ হজে যাওয়ার বিভিন্ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সময় লাগে কমপক্ষে ২ মাস। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস বা অন্য কোনো কারণে যদি কোনো আগ্রহী ব্যক্তি এ বছর হজে যেতে না পারেন, তাহলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রত্যেকের টাকা ফেরত দেয়া হবে।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, নির্ধারিত দিনক্ষণেই ৯ জিলহজ মক্কায় পবিত্র হজ পালিত হবে। এক্ষেত্রে দিনক্ষণ বা সময়ের পরিবর্তন হবে না। যথাসময়ে নিবন্ধন না করলে কেউ কেউ চলতি বছর হজ পালন না-ও করতে পারেন। ২ মার্চ থেকে হজ নিবন্ধন শুরু হলেও করোনাভাইরাস আতঙ্কে কাঙ্ক্ষিত সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।