সকাল সাড়ে নয়টা পর্যন্ত নগরী ও জেলার কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। নগরীর এ কে খান মোড়ে ভোর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে সকাল ৮টার দিকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা নাসিমনভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে উপস্থিত হন। নগর বিএনপির সভাপতি আমীর খসরুর মেহেদীবাগের বাসভবন থেকেও একটি মিছিল নিয়ে দলীয় কার্যালয়ে আসেন। পরে সেখানে সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশে বক্তারা নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি করেন। বিএনপির সমাবেশস্থলে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।
সমাবেশে উপস্থিত আছেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, গোলাম আকবর খোন্দকার ও ডা. শাহাদাত হোসেন প্রমুখ।
তৃতীয় দিনের হরতালে সকাল থেকে নগরীতে রিক্সা ও কিছু সিএনজি চলতে দেখা গেছে। কর্মজীবী মানুষ তাদের নিজ কর্মস্থলে ছুটে যাচ্ছেন। নগরী থেকে দূরপাল্লার বাস কোথাও ছেড়ে না গেলেও ট্রেন ও বিমান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের পণ্য ওঠানামার কাজ চললেও মালামাল ডেলিভারি সীমিত আকারে হচ্ছে। এছাড়া কাস্টমস, ব্যাংক, বীমা ও অফিস-আদালত যথারীতি খোলা রয়েছে ,গ্রাহক এর উপস্থিতি কম। তবে নগরীর অভিজাত বিপণি বিতানগুলো বন্ধ রয়েছে।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (সদর) মাসুদ উল হাসান বলেন, ‘অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় নগরী ও জেলায় প্রায় ৫ হাজার র্যাব-পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১৬ প্ল্যাটুন বিজিবি।’