হাউজি-কার্ড খেলার ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল

0
680

%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%89%e0%a6%9c%e0%a6%bf-%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%a1ঢাকা ক্লাবসহ দেশের বিভিন্ন শহরের ১৩টি ক্লাবে টাকার বিনিময়ে কার্ড, ডাইস ও হাউজির ওপর হাইকোর্টের দেয়া নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। গত রোববার হাইকোর্ট ঢাকা ক্লাব ও উত্তরা ক্লাবসহ ১৩টি ক্লাবে অর্থের বিনিময়ে হাউজি, ডাইস ও কার্ডের মতো খেলার আয়োজনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেন। এ আদেশ স্থগিত চেয়ে ঢাকা ক্লাব কর্তৃপক্ষ চেম্বার বিচারপতির আদালতে আবেদন করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার চেম্বার বিচারপতির আদালত হাইকোর্টের আদেশ এক দিনের জন্য স্থগিত করে আজ বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান। এরই ধারাবাহিকতায় আজ বিষয়টি শুনানির জন্য ওঠে। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বিভাগ রোববার পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন। এই সময়ের মধ্যে ঢাকা ক্লাব কর্তৃপক্ষকে নিয়মিত লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি) করতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন, ব্যারিস্টার রেদোয়ান আহমেদ রানজিব, অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম, অ্যাডভোকেট চৌধুরী মোহাম্মদ রেদোয়ানে খুদা। আর ঢাকা ক্লাবের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মেহেদি হাসান চৌধুরী ও ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর ঢাকা ক্লাবসহ দেশের ১৩টি নামিদামী ক্লাবে জুয়া জাতীয় খেলার ওপর অন্তর্বতীকালীন নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট। ক্লাবগুলো হল, ঢাকা ক্লাব লিমিটেড, উত্তরা ক্লাব, গুলশান ক্লাব, ধানমন্ডি ক্লাব, বনানী ক্লাব, অফিসার্স ক্লাব ঢাকা, ঢাকা লেডিস ক্লাব, ক্যাডেট কলেজ ক্লাব গুলশান, চিটাগাং ক্লাব, চিটাগাং সিনিয়র্স ক্লাব, নারায়ণঞ্জ ক্লাব ও খুলনা ক্লাব।
একই সঙ্গে জুয়া জাতীয় অবৈধ ইনডোর গেম যেমন কার্ড, ডাইস ও হাউজি খেলা অথবা এমন কোনো খেলা যেখানে টাকা বা অন্য কোনো বিনিময় হয়ে থাকে তার আয়োজকদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়। স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, পুলিশ কমিশনার ঢাকা, খুলনা ও সিলেট এবং র‌্যাবের মহাপরিচালক, জেলা প্রশাসক ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেট ও নারায়ণগঞ্জকে নির্দেশনা বাস্তবায়ন ও রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
হাইকোর্টের আদেশের পর আবেদনের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার রেদোয়ান আহমেদ রানজিব জানিয়েছিলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশ ১৯৭৬, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশ ১৯৭৮ এবং পাবলিক গেম্বলিং অ্যাক্ট ১৮৬৭ অনুযায়ী কোনো প্রকার জুয়া খেলা দ-নীয় অপরাধ। একই সঙ্গে সংবিধানের ১৮ (২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সরকারকে পতিতাবৃত্তি ও জুয়া খেলা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে। এসব যুক্তিতে রিটটি দায়ের করা হয়।