হাজার বছরের পথিকৃৎ বাঙালি রবীন্দ্রনাথ

0
94

বরেণ্য ভাষাবিজ্ঞানী ও সব্যসাচী গবেষক ড. মাহবুবুল হক বলেছেন, ‘কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শুধু বিশ্ব কবি নন, তিনি আমাদের প্রাণের কবি ও অবিনশ্বর। তার গান, কবিতা ও ছড়াসহ অসংখ্য লেখা সারাবিশ্বের মানুষ পড়ছে। আমৃত্যু কর্মযজ্ঞের মাধ্যমে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হয়ে উঠেছেন হাজার বছরের পথিকৃৎ বাঙালি।’

মঙ্গলবার (০৮ মে) সন্ধ্যায় নগরের জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৭তম জন্মবার্ষিকীর উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ড. মাহবুবুল হক বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ নিজেকে যেমন উন্মোচন করতে চেয়েছেন সূর্যালোকে, তেমনি নতুনের মধ্য দিয়ে পুনর্জন্মের আস্বাদ পেতে চেয়েছেন। বাংলাভাষা ও সাহিত্যকে রবীন্দ্রনাথ পৌঁছে দিয়েছেন বিকাশের উর্ধ্ব সোপানে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের মাঝে চিরদিন বেঁচে থাকবেন। ‘গীতাঞ্জলি’ রচনা করে ১৯১৩ সালে পেয়েছেন সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার। পাশাপাশি ভারতীয় চিত্রকলাকে আধুনিকতার ধারণায় উর্বর করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, নোবেল পুরস্কারের অর্থে বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে দরিদ্র কৃষকদের ঋণ দিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন কৃষি ব্যাংক, গড়ে তোলেন শান্তিনিকেতন। তিনি পৃথিবীর একমাত্র গীতিকবি, যার রচিত ভিন্ন তিনটি সঙ্গীত ভিন্ন তিনটি দেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে গীত হয়। তার রচিত ‘আমার সোনার বাংলা’ বাংলাদেশে, ‘জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে’ ভারতে এবং ‘নমো নমো মাতা’ শ্রীলংকার জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা শিল্পকলা একাডেমির কার্যনির্বাহী সদস্য নাট্যজন সাইফুল আলম বাবু।

সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন একাডেমির জেলা কালচারাল অফিসার মো. মোসলেম উদ্দিন সিকদার।

শ্রাবণী দাশ গুপ্তার সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা শিল্পকলা একাডেমির সদস্য রনজিত কুমার শীল। সভাশেষে ‘কবি রবীন্দ্রনাথ’ স্মরণে পরিবেশিত হয় রবী ঠাকুরের নানা পর্বের গান।