হাটহাজারী কলেজ জাতীয়করণের দাবিতে মানববন্ধন

0
90

দাবিতে মানববন্ধনচট্টগ্রামের হাটহাজারী কলেজকে সরকারীকরণের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে।

১৬ই জুলাই বেলা সোয়া ১১ টায় হাটহাজারী কলেজ সম্মুখে হাটহাজারী-রাঙ্গামাটি মহাসড়কে এ কর্মসূচি পালিত হয়। হঠাৎ মানববন্ধন থেকে কলেজের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করলে প্রায় ৩ কি.মি এলাকাজুড়ে দেড় ঘন্টাব্যাপী চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি ও হাটহাজারী-অক্সিজেন মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে করে জনভোগান্তি চরম আকার ধারণ করে। পরে পুলিশ এসে উত্তেজিত শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে শান্ত করলে বেলা সাড়ে বারোটার দিকে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়। সূত্র জানায়, হাটহাজারী কলেজকে জাতীয়করণের দাবিতে হাটহাজারী সচেতন ছাত্র-জনতা ব্যানারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এতে হাটহাজারী কলেজ ছাত্রলীগ, হাটহাজারী কলেজে পড়ুয়া বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনসাধারণ ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে অংশগ্রহণ করে। কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাকেরিয়া চৌধুরী সাগরের সঞ্চালনায় ও সভাপতি মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি ও হাটহাজারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাহাবুবুল আলম চৌধুরী, বর্তমান ভিপি ভিপি শেখ খোরশেদুজ্জামান, সাংবাদিক মোহাম্মদ আতাউর রহমান মিয়া, ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ গিয়াস উদ্দিন, কাচারী সড়ক বণিক সমিতির সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন সিকদার, আ.স.ম রফিক, রেজাউল করিম বাবু, কলেজ ছাত্রদল সভাপতি রায়হান উদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক জিয়াউদ্দীন মিজান, প্রাক্তন ছাত্র আমিরুল ইসলাম ফাহাদ, মাসুদুল আলম মঞ্জু, কলেজ শিক্ষার্থী অরুণ চৌধুরী, হেলাল উদ্দিন, ইফতেখার উদ্দিন গালিব, ইকবাল হোসেন রুবেল,আরাফাত হোসাইন, ইকবাল, রাশেদ, মনছুর, মোরশেদ, খোরশেদ, রহিম, সবুজ, ইব্রাহীম, রিয়াদ, সায়মন, মিজান, নুরুল ইসলাম নোবেল, মোঃ মান্না, সালাউদ্দিন, শফিউল গণি পারভেজ, মোঃ কামাল উদ্দিন, মোঃ নাঈম, নাজিম উদ্দিন, রুবেল, মোঃ জিহাদ, মোনায়েম আহমদ সুহান, সোনিয়া ফিরোজ আঁখি, এলিচ আকতার,ইসমাইল, রিয়া দে, জান্নাতুল ফেরদৌস, মোশারফ হোসেন, শেখ আবদুল কাদের, কলিম উদ্দিন প্রমুখ। বক্তারা বলেন, উত্তর চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী হাটহাজারী কলেজ হাটহাজারীর প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত।

২০১৫ সালের কলেজ র‌্যাঙ্কিং এ জাতীয়ভাবে কলেজটি ১২৪ তম বিভাগীয় পর্যায়ে ১৪ ও চট্টগ্রাম জেলায় ৭ম অবস্থানে রয়েছে। হাটহাজারী উপজেলা থেকে হাটহাজারী কলেজ জাতীয়করণের জন্য স্থানীয় সাংসদ ও পানি সম্পদ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ডিও লেটার দেন। ইতোমধ্যে দেশের প্রায় ১৯৯টি কলেজ সরকারীকরণের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন। অথচ উত্তর চট্টলার সর্ববৃহৎ ক্যাম্পাস সমৃদ্ধ ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হাটহাজারী কলেজের নাম সেই তালিকায় না থাকায় উপজেলাবাসী মর্মাহত ও হতাশ হয়েছে। বিগত সরকারের আমলে একাধিকবার হাটহাজারী কলেজকে সরকারী করণের বিষয়ে আশ্বাস দেয়া হলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। অজ্ঞাত কারণে হাটহাজারী কলেজ সরকারী করণ না হওয়ার বিষয়টি দুরভিসন্ধিমূলক। উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা ও সর্বাধুনিক অবকাঠামো সমৃদ্ধ এই কলেজটি বরাবরই চট্টগ্রামের অন্যান্য কলেজের তুলনায় সর্বাগ্রেই সরকারী কলেজ হিসাবে তালিকাভুক্ত হওয়ার দাবী রাখে। বক্তারা হাটহাজারী কলেজকে সরকারীকরণের করা না হলে হাটহাজারীবাসীকে সাথে নিয়ে মহাসড়ক অবরোধ, স্মারকলিপি পেশ সহ শীঘ্রই বৃহৎ আকারে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচীর দেয়া হবে বলে জানান। এদিকে মানববন্ধনের একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে।

এসময় তারা টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করলে প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে দীর্ঘ দেড় ঘন্টাব্যাপী চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি ও হাটহাজারী-অক্সিজেন মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। শত শত যানবাহন আটকা পড়ে জনদুর্ভোগ বেড়ে যায়। এতে করে জনভোগান্তি চরম আকার ধারণ করে। পরে পুলিশ এসে বুঝিয়ে উত্তেজিত শিক্ষার্থীদের শান্ত করলে বেলা সাড়ে বারোটার দিকে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়। খবর পেয়ে হাটহাজারী মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ ইসমাইল ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হন। তিনি শিক্ষার্থীদের দাবি উর্ধ্বতন কর্তপক্ষকে জানানোর আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। কলেজ অধ্যক্ষ মির কফিল উদ্দিন বলেন,‘ হাটহাজারী কলেজকে সরকারিকরণের জন্য স্থানীয় সাংসদ ও পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ডিও লেটার দিয়েছেন। কিন্তু প্রথম পর্যায়ের সরকারীকরণের ১৯৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকায় হাটহাজারী কলেজের নাম না থাকা দুঃখজনক। কলেজটিকে সরকারীকরণ এখন সময়ের দাবি।”