হার দিয়েই শেষ মুশফিকদের

0
94

শেষ ম্যাচটা জয় দিয়েই শেষ করতে চেয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। কিন্তু তা হয়নি। টুর্নামেন্টে নিজেদের শেষ ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের কাছে বরিশাল বুলস হেরেছে ২৯ রানে।
বাস্তবতা যা–ই হোক, কাগজে-কলমে এই ম্যাচের আগ পর্যন্ত বরিশাল-কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের শেষ চারে ওঠার আশাটা টিকে ছিল। কিন্তু বরিশালের হারে শুধু তাদের নিজেদেরই নয়, কুমিল্লার মৃদু আশাও নিভে গেছে। বরিশাল ও কুমিল্লার পয়েন্ট এখন ৮। বরিশালের আর কোনো ম্যাচ নেই। তবে কুমিল্লা যদি কাল রংপুরের সঙ্গে জেতেও, তবু তাদের সুযোগ নেই।
১৫৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ২ রানেই ফিরে যান বরিশাল ওপেনার রায়াদ এমরিত। কিছুক্ষণ পরপর উইকেট পড়তে থাকলে ১২৫ রানে অলআউট হয় বরিশাল। ২৩ বলে ইনিংস সর্বোচ্চ ৩০ রান আসে ডেভিড ম্যালানের ব্যাট থেকে। দুর্দান্ত বোলিং করেছেন সোহাগ গাজী। রংপুরের অফ স্পিনার ৪ ওভারে ১২ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। আর রুবেল হোসেন তাঁর শেষ ওভারে পরপর দুই বলে কামরুল ইসলাম ও মনির হোসেনকে বোল্ড করে সমাপ্তি টেনেছেন প্রতিপক্ষ ইনিংসের।
সাব্বির রহমানের সঙ্গে প্রথমে কথা–কাটাকাটি, পরে তাঁকে ব্যাট দিয়ে কনুইয়ে গুঁতা দেওয়ার ঘটনায় দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা ছিল মোহাম্মদ শেহজাদের। কিন্তু রংপুরের আবেদনের পর আফগান উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যানের এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আজ স্বমহিমায় শেহজাদ। রংপুরের সর্বোচ্চ রান এসেছে তাঁর ব্যাট থেকেই। এমরিতের বলে এলবিডব্লু হওয়ার আগে ৪০ বলে করেছেন ৪৮ রান। মোহাম্মদ মিঠুনের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে যোগ করেছেন ৬৩ বলে ৭৬ রান। শেষ তিন ওভারে এসেছে ৩০ রান, যাতে ১৫০ ছাড়িয়েছে রংপুরের স্কোর।

সংক্ষিপ্ত স্কোর
রংপুর রাইডার্স : ২০ ওভারে ১৫৪/৫ (শেহজাদ ৪৮, সৌম্য ১৭, মিঠুন ৩৮, আফ্রিদি ৭, জিয়া ২৩*, আনোয়ার ৭, ডসন ৭*; তাইজুল ০/২৭, এমরিত ১/৩২, মনির ০/২৮, কামরুল ২/৩৯, পেরেরা ২/২৬)।
বরিশাল বুলস : ১৮.২ ওভারে ১২৫ (এমরিত ১, ম্যালান ৩০, মুশফিক ১, মেন্ডিস ১২, ফজলে ২১, পেরেরা ২৪ এনামুল ৭*, তাইজুল ৯; সোহাগ ২/১২, আনোয়ার ১/২৫, নাঈম ১/১৪, জিয়া ০/১৬, রুবেল ২/২১, আফ্রিদি ২/২৪, ডসন ২/১১)।
ফল : রংপুর রাইডার্স ২৯ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : মোহাম্মদ শেহজাদ।