হালদার ভাঙ্গন রোধে ২১২ কোটি  টাকার প্রকল্পে উদ্বোধন শনিবার

0
82

শফিউল আলম, রাউজান ঃ সেনাবাহিনীর তত্ববধানে হালদা নদীর ভাঙ্গনরোধ প্রকল্পের কাজ আগামী কাল ৯ ডিসেম্বর শনিবার মদুনাঘাট এলাকায় উদ্বোধন করা হবে । প্রকল্পের কাজ উদ্ধোধন করবেন পানিসম্পদ মন্ত্রী ব্যরিষ্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ । উদ্ধোধনী অনুষ্টানে আরো উপস্থিত থাকবেন রেলপথ মন্ত্রনালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবি এম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি, মঈন উদ্দিন খান বাদল এমপি, মেজর জেনারেল সিদ্দিকুর রহমান সহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা । সেনাবাহিনীর তত্ববধানে এ প্রকল্পের আওতাধিন রাউজান – হাটহাজারীর হালদা নদীর ভাঙ্গনরোধে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হলে দুই উপজেলার হালদার তীরবর্তী এলাকার মানুষের বাড়ী ঘর ফসলী জমি নদীর ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পাবে ।
হালদা নদী তীর রক্ষা প্রকল্পটির আওতায় ১২.১২ কিলোমিটার নদী তীর সংরক্ষন কাজ, ৬ কিলোমিটার বাঁধ নির্মান, ১৫ কিলোমিটার বাধঁ মেরামত, ৪ কিলোমিটার বিদ্যমান রাস্তা কাম বাধঁ উচুকরন, ০৫০ কিলোমিটার গার্ডওয়াল নির্মান কাজ করা হবে ।
২০১৯ সালের ডিসেম্বর সময়েে মধ্যে কাজ শেষ হবে । প্রকল্পটির মোট ব্যয় হবে ২১২ কোটি ৮ লাখ টাকা । প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে রাউজান ও হাটাহাজারী উপজেলার ৫ হাজার ৭১০ কোটি টাকার সম্পদ নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পাবে। প্রকল্পটি এলাকার সামাজিক উন্নয়ন ও অথনৈতিক কর্মকান্ড বৃদ্বি পাবে ।
গত ৪ এপ্রিল ঢাকার শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেকের ২০১৬-২০১৭ অর্থ বৎসরের ২৩ ত,সভায় এ প্রকল্পটি অনুমোধিত হয় ।
রাউজান উপজেলার পশ্চিম গহিরা, সর্তার ঘাট, আবুর খীল, মোকামী পাড়া, হাটহাজারীর ফরহাদাবাদ, ধলই, গুমানমর্দন, লাঙ্গলমোড়া, ছিপাতলী, গড়দুয়ারা, মার্দ্রসা, বুড়িশ্চর সহ ৩৯ টি পয়েন্টে ভাঙ্গনরোধের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে । উন্নয়ন প্রকল্প নদীর মোহরা অংশ থেকে শুরু করে উত্তর পশ্চিমে ১৩ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত । ,
হাটহাজারীর আকবরিয়া হতে নাজির হাট পর্যন্ত ২১ কিলোমিটার হালদার পাড়ে বেড়িবাধ নির্মান করা হবে । তার মধ্যে ৮টি স্পটে জায়গা উচু করা হবে । এ ৪টি স্পটের জন্য ৮ কোটি টাকা বরাদ্ব দেওয়া হয়েছে । এই বেড়িবাধের উপর দিয়ে সিএনজি অটোরিক্সা চলাচলের ব্যবস্থা থাকবে ।
পানি সম্পদ মন্ত্রী ব্যরিষ্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে হালদা নদীর দুই তীরে ভাঙ্গন থেকে শত শত একর জমি, ক্ষেত খামার, বাড়ীঘর রক্ষা পাবে । রাউজান ও হাটহাজারী উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ উপকৃত হবে ।