হিন্দুদের ওপর আক্রমণে বিচলিত ভারত, পদক্ষেপে সমর্থন

0
35

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর বিভিন্ন আক্রমণের ঘটনায় বিচলিত ভারত। তবে বাংলাদেশের সরকার যেভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে তাতে সন্তোষ প্রকাশ করেছে দেশটি। গতকাল দিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বলেছেন, স্বীকার করতেই হবে, শেখ হাসিনা সরকার হামলাকারীদের বিরুদ্ধে শক্তিশালী পদক্ষেপ নিচ্ছে। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ জুড়ে তিন হাজারেরও বেশি সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করার কথা উল্লেখ করেন স্বরাজ। পাশাপাশি এটাও বলেছেন, প্রতিবেশী দেশে নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের জন্য ভারতের দরজা সব সময় খোলা থাকবে। দিল্লিতে মোদি সরকারের দু’বছরের অর্জন নিয়ে আয়োজিত বাৎসরিক এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সুষমা স্বরাজ। এ খবর দিয়েছে এনডিটিভি ও বিবিসি বাংলা।
সুষমা স্বরাজ সংবাদ সম্মেলনে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন বাংলাদেশ প্রসঙ্গ নিয়ে। সেখানে তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর সামপ্রতিক নানা হামলার ঘটনায় ভারত সরকার বিচলিত। তবে বিবিসি বাংলার এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এটাও বলেছেন যে, এই হামলাগুলোকে তিনি ঠিক বাংলাদেশ সরকারের ব্যর্থতা হিসেবে দেখতে রাজি নন। ভারতীয় মন্ত্রী বলেন, এই হামলাগুলো যেমন দুর্ভাগ্যজনক, তেমনি ভারতের জন্য পীড়াদায়কও বটে। তিনি আরো বলেন, ‘দুই দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ে এ বিষয়ে নিয়মিত আমাদের কথাবার্তা হচ্ছে। তবে একটা কথা আমাকে অবশ্যই বলতে হবে, বাংলাদেশ সরকার এই হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে চেষ্টার কোন ত্রুটি রাখছে না। তিন হাজারেরও বেশি লোককে এর মধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শেখ হাসিনা সত্যিই খুব কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছেন।’
সুষমা স্বরাজ এটাও বলেছেন, তার জন্য এটা অত্যন্ত খুশির খবর যে, বাংলাদেশের ইসলাম ধর্মীয় নেতারা রীতিমতো ফতোয়া দিয়ে এই ধরনের হামলাকে ইসলামবিরোধী বলে বর্ণনা করেছেন। লক্ষাধিক ধর্মীয় নেতা তাতে সইও করেছেন। ফলে ভারত মনে করছে প্রকাশ্যে যখন এত হাজার হাজার ধর্মীয় নেতা হিন্দুদের ওপর হামলার বিরুদ্ধে সরব হতে পারেন, তখন বাংলাদেশের সরকার ও দেশের মানুষ অবশ্যই ওই সব হামলার বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, এতে বাংলাদেশি মানুষের মানসিকতা ফুটে উঠেছে।
শরণার্থী প্রসঙ্গে সুষমা স্বরাজ বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে নির্যাতিত সংখ্যালঘুরা ভারতে গেলে ভারত সরকার তাদের আশ্রয় দিতে দায়বদ্ধ। তিনি বলেন, ‘আমরা নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের কথা যখন বলছি, তার মধ্যে কিন্তু হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন এরা সবাই পড়েন। নির্যাতিত সংখ্যালঘু বলতে আমরা শুধু হিন্দুদের কথাই বলছি না। ফলে ভারত যখন শরণার্থীদের জন্য নীতিমালা প্রস্তুত করছে, তখন কিন্তু সেটা আমাদের আশেপাশের প্রতিবেশী দেশ থেকে আসা নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের কথা মাথায় রেখেই বানানো হচ্ছে।’