১০০১টাকায় গুলশানে দেড় বিঘার বাড়ি পাচ্ছেন শেখ রেহানা

0
83

বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ রেহানাকে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় প্রতীকী মূল্যে গুলশানে দেড় বিঘা আয়তনের একটি বাড়ি দিচ্ছে। তাঁকে দেওয়া হচ্ছে ‘পরিত্যক্ত বাড়ি’ হিসেবে তালিকাভুক্ত গুলশানের ৮৪ নম্বর সড়কের এনইএল (২) ১০ নম্বরের বাড়িটি। আর এর প্রতীকী মূল্য হচ্ছে এক হাজার এক টাকা।

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল সূত্রে এ তথ্য পাওয়া যায়।
গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন আজ বুধবার সন্ধ্যায় প্রথম আলোর কাছে এ তথ্যের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা আইন-২০০৯-এর অধীনে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানাকে গুলশানের বাড়িটি দেওয়া হচ্ছে। যদিও তিনি বাড়ি নিতে চাচ্ছেন না। নিরাপত্তা আইনে বঙ্গবন্ধুর কন্যাদের স্থায়ী ঠিকানা থাকার বিধান রয়েছে। শেখ রেহানা আইনতই স্থায়ী ঠিকানা পেতে পারেন, এখানে গোপন করার কিছু নেই।’

গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, ধানমন্ডিতে শেখ রেহানাকে যে বাড়িটি দেওয়া হয়েছিল, বিএনপি জোট সরকারের আমলে সে বাড়ি থেকে তাঁকে সরিয়ে থানা করা হয়েছিল। পরে তাঁকে বাড়িটি ফেরত দেওয়া হলেও তিনি নেননি। বঙ্গবন্ধুর কন্যা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাড়ি নেই। স্বামীর বাড়ি সুধা সদনই তাঁর বাড়ি। ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িটিও বঙ্গবন্ধু জাদুঘর হয়েছে।

শেখ রেহানাকে কবে নাগাদ বাড়িটি দেওয়া হচ্ছে? এ প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, এ সপ্তাহের মধ্যেই বাড়িটি দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এটা হবে তাঁর স্থায়ী ঠিকানা। তবে পরিত্যক্ত বাড়িটি ভেঙে নতুন করে তৈরি করতে হবে।

২০০৪ সালে বিএনপি জোট সরকারের আমলে পূর্ত মন্ত্রণালয় ২৮টি পরিত্যক্ত বাড়ি কম মূল্যে নিলামে বরাদ্দ দিয়েছিল, যা পেয়েছিলেন প্রধানত দলীয় প্রভাবশালীরা। পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে এসব বাড়ির বরাদ্দ বাতিল করা হয়। শেখ রেহানাকে যে বাড়িটি দেওয়া হচ্ছে সেটি ওই পরিত্যক্ত বাড়িগুলোর একটি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর শেখ রেহানাকে ধানমন্ডির ছয় নম্বর সড়কে একটি বাড়ি বরাদ্দ দেওয়া হয়। ২০০২ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এলে ওই বরাদ্দ বাতিল করে ‘ধানমন্ডি থানা’ প্রতিষ্ঠিত করে।

বিএনপি সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শেখ রেহানা হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। মামলাটি দীর্ঘদিন ধরে পড়ে ছিল। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে শেখ রেহানা ওই মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেন এবং প্রত্যাহার হলে তিনি বাড়িটি সরকারকে নিবন্ধন দলিলের মাধ্যমে ফেরত দেন। এরপর জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা আইন-২০০৯ সংসদে পাস হয়।