১০০ লোক নিয়ে রাস্তায় বসে থাকার সুযোগ দেন-মির্জা আব্বাস

0
78

আওয়ামী লীগ নেতারা আন্দোলন নিয়ে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক মির্জা আব্বাস। তিনি বলেছেন, নরম কর্মসূচি কাকে বলেÑ এ ধরনের কথা বলে সরকার বিএনপিকে উস্কে দিতে চায়, যাতে আরও নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে নতুন নতুন মামলা দেয়া যায়। আজ রাজধানীর শাহজাহানপুরের নিজের বাসায় দলের আন্দোলন কর্মসূচি নিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপির কর্মসূচি নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরফুল ইসলামের বক্তব্যের সমালোচনা করে মির্জা আব্বাস বলেন, তিনি (সৈয়দ আশরাফ) বলেছেন, ১০০ মানুষ নিয়ে মির্জা আব্বাস রাস্তায় বসে থাকলে কিছু হবে না। আমি তাকে বলতে চাই, মির্জা আব্বাসকে ১০০ লোক নিয়ে বসে থাকার সুযোগ দেন। এটাই আমি চাই। তারপর দেখা যাবে। মহানগর বিএনপির নতুন এই আহ্বায়ক বলেন, এক-এগারোর আগে আওয়ামী লীগ যে হিংসাত্মক কর্মসূচি দিয়েছিল, তেমন আমরা কখনোই দেবো না। মানুষ মেরে ক্ষমতায় যাওয়ার ইচ্ছা আমাদের নেই। আমরা চাই, জনগণের ক্ষমতা তাদের হাতে ফিরিয়ে দিতে। গাজায় ইসরাইলের হামলার প্রতিবাদে কালো পতাকা মিছিল কর্মসূচি সফল হয়েছে দাবি করেন মির্জা আব্বাস। এছাড়া জাতীয় সম্প্রচার নীতির প্রতিবাদে ১৯শে আগস্ট সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশ সফল হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ব্যাপক মানুষজন এতে অংশ নিয়েছে। জনপ্রতিনিধিত্বহীন সংসদের কাছে বিচারপতিদের অভিশংসন ক্ষমতা ফিরিয়ে দেয়ার উদ্যোগের প্রতিবাদেও দলের হাইকমান্ড কর্মসূচি দেয়ার চিন্তাভাবনা করছে। নির্দলীয় সরকারের অধীনে দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে ২০ দলীয় জোটের উদ্যোগে ২১শে আগস্ট থেকে সারাদেশে ১০ দিনের গণসংযোগ কর্মসূচিও চলছে। এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা আব্বাস বলেন, মহানগর কমিটি গঠনের কার্যক্রমে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। বিভিন্ন টিমে ভাগ করে কমিটি গঠনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আমার ভাগেও কয়েকটি থানার দায়িত্বে আছে। আমাদের কাছে নানা অভিযোগ-অনুযোগ আসছে। আমরা তা সমাধানও করছি। তিনি বলেন, তারা সংগঠনকে এমনভাবে শক্তিশালী করতে চান, যাতে ‘ধীর পায়ে শক্ত হয়ে’ সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়। কোন কারণেই যাতে ‘পিছু হটতে’ না হয়। সরকারের উদ্দেশ্যে মির্জা আব্বাস বলেন, তারা দেশের অবস্থা বুঝতে পারছে না। তারা সমুদ্রের গর্জন শুনতে পারছে না। তাদের বলবো, রাজপথের দিকে তাকান, দেয়ালে কান দিয়ে শুনেন। ক্ষমতায় থাকলে মন্ত্রীর চেয়ারে বসলে রাজপথের অবস্থা বুঝতে চান না। এসময় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু উপস্থিত ছিলেন।