১৫ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় পেল আবদুল কাদের মোল্লা

0
81

কাদের মোল্লা৮ ডিসেম্বর থেকে সাত দিন পর্যন্ত একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসির দণ্ডাদেশ পাওয়া জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ আছে।
আজ মঙ্গলবার ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ কারা তত্ত্বাবধায়ক (জেল সুপার) ফরমান আলী এ তথ্য জানান।
সকালে কারাগারের সামনে সাংবাদিকদের ফরমান আলী বলেন, ‘যেদিন ওয়ারেন্ট পেয়েছি, সেদিন থেকে সাত দিন কার্যকর হবে। ৮ তারিখ থেকে কাউন্ট ডাউন, সাত দিন। সরকারের আদেশ-নির্দেশের অপেক্ষায় আছি।’
রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করার বিষয়ে কাদের মোল্লার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে বলে জানান ফরমান আলী। তবে কাদের মোল্লা এ বিষয়ে স্পষ্ট কোনো মতামত জানাননি বলে তিনি দাবি করেন।
জেল সুপার বলেন, ‘কাদের মোল্লার ৭৯০ পৃষ্ঠার রায় পুরোটা পড়ে শোনানোর দরকার নেই। তাঁকে সংক্ষেপে রায় পড়ে শোনানো হয়েছে।’
এদিকে আবদুল কাদের মোল্লা শারীরিক ও মানসিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন তাঁর দুই আইনজীবী। আজ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কাদের মোল্লার সঙ্গে দেখা করার পর তাঁর দুই আইনজীবী সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
আজ সকাল সোয়া ১০টার দিকে কাদের মোল্লার দুই আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক ও তাজুল ইসলাম ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রবেশ করেন। তাঁরা কাদের মোল্লার সঙ্গে কথা বলে ৫০ মিনিট পর বেলা ১১টা পাঁচ মিনিটের দিকে বের হয়ে যান।

এ সময় আবদুর রাজ্জাক বলেন, যত দ্রুত সম্ভব রিভিউ আবেদন করা হবে। রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার বিষয়টি বিবেচনা করছেন কাদের মোল্লা। রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়ে আবেদনের সময়সীমা গতকাল ৯ ডিসেম্বর থেকে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত দাবি করে তিনি বলেন, ২১ বা ২২ ডিসেম্বর তাঁরা আবারও কাদের মোল্লার সঙ্গে দেখা করবেন। তখন কাদের মোল্লা তাঁদের জানাবেন, তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করবেন, নাকি করবেন না।

কাদের মোল্লা নিজেকে সম্পূর্ণ নির্দোষ মনে করেন বলেও জানান আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক। তাঁর দাবি, রায়ের কপি পাওয়ার অধিকার কাদের মোল্লার আছে।

গত রোববার আবদুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে মৃত্যুপরোয়ানা জারি করা হয়েছে। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ থেকে মৃত্যুপরোয়ানা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়।

সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতে কাদের মোল্লাকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় ৫ ডিসেম্বর প্রকাশিত হয়।

গত ১৭ সেপ্টেম্বর প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতে আবদুল কাদের মোল্লাকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন।

গত ৫ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।