১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে উখিয়ার বালুখালী মধুরছড়া খালের খনন শুরু  

0
51
কায়সার হামিদ মানিক,উখিয়া।
উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালি কাষ্টম ঘাটস্হ  নাফ নদী সংযোগ হয়ে মধু ছাড়া পর্যন্ত খাল  পূণ:খননের কাজ এগিয়ে চলছে। বর্ষার মৌসুমী জলাবদ্ধতা নিরসন ও চাষাবাদের  লক্ষ্যে খালটি পুনঃ খনন করা হচ্ছে।
উখিয়া   প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি,) উপজেলা সহকারি প্রকৌশলী মোহাম্মদ সোহরাব আলী জানান, পাঁচ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের খাল খনন প্রকল্পটি এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংকের  (এডিবি) অর্থায়নে ১৬ কোটি টাকা ব্যয় বরাদ্দে  বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, কুতুপালং বালুখালি মধুরছড়া থাইংখালী  ও পালংখালী এলাকার হাজার হাজার একর সরকারি সংরক্ষিত বনাঞ্চল ধ্বংস এবং পাহাড় কেটে লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা আশ্রয় গ্রহণ করেছে। পাহাড় নিধন ও বনজ সম্পদ ধ্বংস করার কারণে পাহাড়ের মাটি পানির সাথে এসে খাল সমূহ ভরাট হয়ে যায়। এতে করে বর্ষার মৌসুমে জলাবদ্ধতার পাশাপাশি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের টয়লেটের নোংরা পানি ও নোংরা আবর্জনায় পুরো এলাকা মারাত্মক দূষিত হয়ে ওঠে।
এদিকে খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) জলাবদ্ধতা নিরসন ও অবাধ পানিপ্রবাহ নিশ্চিত করতে খাল খনন কর্মসূচি গ্রহণ করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে,  বালুখালি কাস্টম ঘাট এলাকার নাফ নদী হয়ে মধু ছাড়া পর্যন্ত দীর্ঘ পাঁচ কিলোমিটার খাল খনন  করতে এগিয়ে আসে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক।
খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, গত মাসে শুরু হওয়া খাল খনন কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। স্থানীয় মেম্বার জানান, খনন শেষ হলে নদীর সাথে সহজে পানি প্রবাহ সচল হলে এলাকায় যেমনিভাবে চাষাবাদ করা যাবে পক্ষান্তরে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা নিরসন হবে।
উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি)  মোঃ রবিউল হোসেন জানান, সরকারি সিডিউল মোতাবেক খালের পূণ:খনন কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বর্তমানে ৬০  ভাগ  খনন হয়েছে। অবশিষ্ট কাজ আগামী মার্চ মাসে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।