২০১৫ সালের মধ্যে চট্টগ্রাম-হাটহাজারী মহাসড়কের কাজ শেষ করা হবে-যোগাযোগ মন্ত্রী

0
94

বিপ্লব দে,হাটহাজারী সংবাদদাতা
যোগাযোগ মন্ত্রী নগরীর ফতেয়াবাদ এলাকায় চট্টগ্রাম-হাটহাজারী সড়কের বিটুমিন কাজের উদ্বোধন করেন। এসময় মন্ত্রী জানান, ২০১৫ সাল নাগাদ এ সড়কের কাজ শেষ হবে।

তিনি বলেন,এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। দু’পার্বত্য জেলার লোকসহ ২৮ টি রুটের যানবাহন চলাচল করে। তাছাড়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। এখন প্রয়োজনীয় বরাদ্দ আছে। ৩১ কোটি টাকার কাজ শেষ হয়েছে। চলতি অর্থ বছরে আরও পাঁচ কোটি টাকার কাজ হবে। আগামী অর্থবছরে একসঙ্গে ২০ কোটি টাকা দেব।

সাংবাদিকের প্রশ্নে ক্ষিপ্ত যোগাযোগমন্ত্রী
চট্টগ্রাম-হাটহাজারী প্রকল্প নিয়ে স্থানীয় লোকজন মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার অগ্রাহ প্রকাশ করেন। মন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্ন শেষ হলে তারপর স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান। এরপর অক্সিজেন-হাটহাজারী প্রকল্প ও বিআরটিসি বিষয়ে আরো তিনটি প্রশ্নের উত্তর দেন মন্ত্রী। এরপর টিভির ওই প্রতিবেদক আবারও প্রশ্ন করলে মন্ত্রী তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। এসময় তিনি বলেন, আমিও সাংবাদিক ছিলাম। দেশের কথা ভেবে কাজ করবেন। দেশের কথা ভেবে প্রশ্ন করবেন। সবকিছুর আগে দেশের স্বার্থ।
উল্লেখ্য ২০০৯ সালের মহাজোট সরকারের প্রথম একনেকের সভায় অনুমোদিত হয় চট্টগ্রাম-হাটহাজারী চারলাইনে উন্নীতকরন প্রকল্প। অক্সিজেন হতে হাটহাজারী পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ১২ কিলোমিচার সড়কের উন্নয়ন ও সম্প্রসারনের জন্য দুইটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়া হয়। প্রতিষ্ঠান দুইটির মধ্যে এমএম বির্ল্ডাস আট দশমিক ৮০ কিলোমিটার এবং আনোয়ার পপুলার জয়েন্ট ভেঞ্চার পেয়েছে তিন দশমিক ৭০ কিলোমিটার সড়কের কাজ। সড়কটি চার লাইন করার জন্য উভয় পাশে ১৩ হেক্টর ভূমি অধিগ্রহনের কথা ছিল। এর মধ্যে সাড়ে ছয় হেক্টও পড়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে। বাকি অর্ধেক পড়েছে কর্পোরেশন এলাকার বাইরে। কিন্তু ভ’মি অধিগ্রহনের কারনে প্রকল্প ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় তা কমিয়ে ৫০ ফুট নির্ধারন করা হয়। এ ব্যাপারে সওজ অফিস আরো জানায় সড়কটি ৮৫ ফুট সম্প্রসারন করতে গেলে উভয় দিকে বিশাল পরিমান জমি অধিগ্রহন করতে হবে। সড়কের দুই পাশে জমির পরিমান যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে প্রকল্পে ব্যয় ১২৯ কোটি থেকে বেড়ে গিয়ে সাড়ে তিনশ কোটি টাকা হবে। এ বিষয়টি চিন্তা করে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবদুল করিম জমি অধিগ্রহনের বিষয়টি বাদ দেন। তবে মদনহাট ও চৌধুরীহাটের দুই পাশে সরকারি জায়গা না থাকায় সেখানে উভয়দিকে ৩৫ ফুট প্রমস্থ হবে। কিন্তু তবুও যেন সড়কটির সম্প্রসারন কাজ থমকে দাড়িয়েছিল। এ সময় বারবার যোগাযোগমন্ত্রঅ সড়ক পরিদর্শনে এসে অর্খের অভাব বলে চলে গিয়েছিলেন। তবে এবার তিনি আশ্বাস দিলেন আগামী বছর কাজ শেষ হবে।