২১০০ সালে বন্দর কেমন হবে, সেই লক্ষ্যে কাজ করছি

0
64

২১০০ সালে বন্দর কেমন থাকবে সেই লক্ষ্যে কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ।

শুক্রবার (০৩ নভেম্বর) চট্টগ্রাম বন্দরের প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে অধিক গতিশীলতার লক্ষ্যে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি একথা জানান।

মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, দুই বছর আগে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, চট্টগ্রাম হবে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের একটি বড় কেন্দ্রবিন্দু।  এটিকে কেন্দ্র করে নানা রকম কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী দেশব্যাপী ১০০টি অর্থনৈতিক জোন করার উদ্যোগ নিয়েছেন। তাতে করে অনেক উৎপাদন হবে। অনেক আমদানি-রপ্তানি হবে। সরকারের প্রচুর রাজস্ব আয় হবে।

তিনি বলেন, বন্দরের স্ক্যানার  মেশিন সংকট রয়েছে। নিলামের বিষযে অনেক স্টেকহোল্ডার কথা বলেছেন। আমরা সেই সব সমাধানে উদ্যোগ নেব। আপনারা পৃথিবীর অনেক বন্দর দেখেছেন, তবে বে-টার্মিনালটা সুন্দর পরিকল্পনা।

এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান বলেন, বন্দর-কাস্টমসের সক্ষতা বাড়াতে হলে  আমাদের এখন টিমওয়ার্ক নিয়ে কাজ করতে হবে। এটা  সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের কাজ, এটা ফরোয়ার্ডারের কাজ, এটা করা যাবে না। টিম স্পিরিট থাকতে হবে। যেটা অবশ্য আপনাদের মধ্যে আছে। আজকের মিটিংটা সফলতা দ্বার খুলে দিচ্ছে। রাজস্ব বোর্ড সম্পূর্ণ কমিটেটেড। স্ক্যানার মেশিন, গ্রিন চ্যানেল নির্মাণ ও  নিলামের জটিলতা দূর করা হবে।

নৌসচিব আব্দুস সামাদ বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর হচ্ছে দেশেরে অর্থনীতির হৃদপিণ্ড। বলা যেতে পারে ইকোনোমির লাইফ লাইন। চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষতার সর্বোচ্চ স্তরে নেওয়ার জন্য এবং  দক্ষতার অবস্থানের নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী বহু নির্দেশনা দিয়েছেন তারমধ্যে একটি হচ্ছে বন্দর-কাস্টমস ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা। বে-টার্মিনাল ভবিষ্যতে বড় সম্ভাবনার দিগন্ত উন্মোচন করবে।

বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম খালিদ ইকবাল বলেন, বন্দরের সক্ষমতার বাড়ানোর জন্য আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি। আট বছরে ৯৮ থেকে ৭১ নম্বরের এসেছে বন্দর। এই এক বছরে আমরা ৫ ধাপ এগিয়েছি। এই কারণে জরুরি ভিত্তিতে কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি।  আগামী কয়েক বছরের মধ্যে

চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা অনেকাংশে বেড়ে যাবে। ২০১৯ সালে পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল, ২০২০ সালে লালদিয়া এবং ২০২১ সালের বে-টার্মিনালের কাজ শেষ হবে।সভায় বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম, বিজিএমইএর প্রথম সহ-সভাপতি মঈনুদ্দীন মিন্টু, কাস্টমস কমিশনার ড. একেএম নুরুজ্জামান, বিদায়ী কমিশনার এএফএম আব্দুল্লাহ, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোয়েশনের সভাপতি আকতার হোসেন প্রমুখ।