বন্দরে ২১ লাখ কেজি খাদ্যপণ্য ধ্বংস করা হবে

0
56

মাটিতে ১২ লাখ কেজি ফল পুঁতে ফেলার উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। ধ্বংসের তালিকায় রয়েছে আপেল, কমলা, ডালিম, মাল্টা। এছাড়া ২৭ হাজার কেজি পেঁয়াজ, আদা, মাছ, হলুদ, খেজুরসহ মোট প্রায় ২১ লাখ কেজি পণ্য ধ্বংস করা হবে।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) থেকে এ প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন কাস্টমস কর্মকর্তারা। নগরীর উত্তর হালিশহরে ক্রমান্বয়ে এসব পণ্য ধ্বংস করা হবে। এজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। ধ্বংসের সময় সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিকে উপস্থিত থাকতে চিঠি দিয়েছেন চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার ড. একেএম নুরুজ্জামান।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি করা এসব পণ্য ব্যবসায়ীরা খালাস না নেওয়ার দীর্ঘদিন বন্দর চত্বরে পড়ে ছিল। ফলে এখন সব পঁচে গেছে। ২০১০ সাল থেকে চলতি বছরের মাঝামাঝি পর্যন্ত ৮৬টি কনটেইনারে এসব পণ্য আমদানি করেন ব্যবসায়ীরা।

কাস্টমস কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ব্যবসায়ীরা সময়মতো পণ্য খালাস না নেওয়ায় খাদ্যপণ্যগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। সময় মতো খালাস নিলে এ অবস্থা হতো না।

কন্টেইনারগুলো দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকার কারণে মালিকরা বিপুল ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে জানিয়ে বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান আহসানুল হক বলেন, এ উদ্যোগটি আগে নিলে আমরা ক্ষতি থেকে বাঁচতাম, ব্যবসা হতো এবং সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হতো না।

তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে কন্টেইনারগুলো খালি করে দেওয়ার জন্য কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে বলেছি। কিন্তু তারা কোন উদ্যোগ নেয়নি। শেষ পর্যন্ত বিষয়টি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে জানানো হয়। তখন রাজস্ব বোর্ড দ্রুততম সময়ের মধ্যে এসব কন্টেইনার খালি করার নির্দেশ দেয়।

একটি কন্টেইনারের মূল্য ৩৩ লাখ টাকা জানিয়ে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন পড়ে থাকার কারণে ব্যবসা পায়নি। এখন খালি হলেও সাথে সাথে ব্যবহার করতে পারবো না। কারণ মেরামত করতে হবে।

চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টমস সূত্র জানায়, ব্যবসায়ীরা পণ্য খালাস না নিলে আমদানির সঙ্গে যুক্ত সব পক্ষই আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়। আমদানি প্রক্রিয়ার
শুরু থেকে বন্দরে আসা পর্যন্ত পণ্যের দামের পুরোটা বা আংশিক বিদেশি মুদ্রায় পরিশোধ করতে হয় ব্যবসায়ীকে। কিন্তু পণ্য আসার পর ব্যবসায়ী তা খালাস না করলে নিলামের প্রক্রিয়া শুরু করে কাস্টমস। খালাস না নিলে ৩০ দিনের মধ্যে নিলামে তোলার বাধ্যবাধকতা তাকলেও কাস্টমস তা সঠিক সময়ে করতে পারে না।
কাস্টমস সূত্র জানায়, ধ্বংসের তালিকায় ওঠা ৫০টি কনটেইনারে রয়েছে চীন, মিসর, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ কয়েকটি দেশ থেকে অনা পণ্য। এসব পণ্যের আমদানিকারক চট্টগ্রাম ও ঢাকা ও খুলনার ব্যবসায়ীরা।