২৮ বছরে অনেক প্রতিকূলতা ডিঙ্গিয়ে সারা বাংলায় বিস্তৃত

0
73

২৮ বছরে অনেক প্রতিকূলতা ডিঙ্গিয়ে সারা বাংলায় বিস্তৃত হয়েছে

মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার পরিষদের চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এ.বি.এম. মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, আজ থেকে ২৮ বছর আগে এক দুর্বিনীত দুঃসময়ে মুক্তিযুদ্ধের যে বিজয় মেলা শুরু হয়েছিল অনেক প্রতিকূলতা ডিঙ্গিয়ে টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে।  তিনি আজ বিকেলে আউটার স্টেডিয়ামের মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার সমাপনী দিবসের সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতির ভাষণে একথা বলেন। তিনি আরো বলেন, একটা সময় জয় বাংলা স্লোগান দেওয়া যেতনা মুক্তিযোদ্ধাদের নানাভাবে অপমাণিত করা হতো। এমনকি আবহমান বাংলা ও বাঙালির ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে বিপন্ন করা হয়েছিল। আমাদের বাঙালিত্বের পরিচয় মুছে ফেলারও চেষ্টা হয়েছে। এধরণের অপচেষ্টার বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা একটি প্রতিরোধ মঞ্চ। এই মঞ্চে মুক্তিযুদ্ধের গান হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ হয়েছে, বাঙালির শুদ্ধ সংস্কৃতির চর্চা হয়েছে এবং প্রজন্ম পরম্পরায় আমাদের সন্তানদের কাছে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। এর ফলে নতুন প্রজন্ম আজ পরিশুদ্ধ হয়েছে। তিনি আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার মঞ্চ থেকে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদক, সাম্প্রদায়িকতা ও অর্থনৈতিক দুবর্ৃৃত্তায়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদ উচ্চারিত হয়েছে। সব মিলিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা ধর্ম-বর্ণ জাতি নির্বিশেষে বাঙালির মহামিলনের একটি পবিত্র তীর্থকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।

তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, কোন কোন জায়গায় মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার নামে জুয়া, অশ্লীল নৃত্য, পরজীবী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও সার্কাসের নামে অপসংস্কৃতির চর্চা হচ্ছে। এই অপকর্ম মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী। তিনি বিজয় মেলার নামে এই অনাচার বন্ধ করার জন্য প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহবান জানান। উল্লেখ্য, বিগত ১লা ডিসেম্বর থেকে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা শুরু হয়। ৯ই ডিসেম্বর গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের উপস্থিতিতে এম.এ. আজিজ স্টেডিয়াম চত্বরে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় শিখা প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে জিমনেশিয়াম প্রাঙ্গনে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মঞ্চের কার্যক্রম শুরু হয়। এই কার্যক্রম ২০শে ডিসেম্বর পর্যন্ত চলমান ছিল। সমাপনী মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনকে ক্রেষ্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।

বিকেলে আউটার স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সমাপনী অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের মহাসচিব মোহাম্মদ ইউনুছ এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন মেলা পরিষদের কো-চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব বদিউল আলম, অমল মিত্র, জাহাঙ্গীর চৌধুরী সি.ইন.সি (স্পেশাল), ফৈরদৌস হাফিজ খান রুমু সি.ইন.সি (স্পেশাল), মহাসচিব আহমেদুর রহমান সিদ্দিকী, অর্থসচিব পান্টু লাল সাহা, র‌্যালী উপ-পরিষদের আহবায়ক এড. শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, সাংস্কৃতিক স্কোয়ার্ডের শেখ শহিদুল আনোয়ার, ক্রীড়া উপ-পরিষদের আহবায়ক মশিউর রহমান চৌধুরী, মাঠ পরিচালনা কমিটির আবুল মনছুর, আবু তাহের, মেলা পরিচালনা কমিটির হাজী সাহাবউদ্দিন ও সাজেদুল ইসলাম চৌধুরী মিল্টন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আবু ছৈয়দ, মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ খান চৌধুরী, আব্দুল আহাদ, মাহাবুবুল হক সুমন, এস.এম. সাঈদ সুমন, আবুল হোসেন আবু, আরশেদুল আলম বাচ্চু, আজিজুর রহমান আজিজ। এছাড়া ছাত্র, যুব, শ্রমিক, মহিলা, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবক স্কোয়ার্ডের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।