৩টি অর্থনৈতিক জোন গড়ার সমীক্ষা শেষ

0
80

দেশের ৩টি অর্থনৈতিক জোন গড়ে তোলার লক্ষ্যে সমীক্ষা কার্যক্রম শেষ হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় এ সমীক্ষা পরিচালনা করা হয়। জোন তিনটি হচ্ছে- মৌলভীবাজার জেলার শেরপুর এবং চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই ও আনোয়ারা। সমীক্ষা অনুযায়ী এ তিনটি অর্থনৈতিক জোন গড়ে তোলা হলে এখানে বিভিন্ন শিল্প-কারখানা স্থাপন ও অন্যান্য অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে শেরপুরে ৪০৭০৬ জন, মিরসরাইয়ে ৫,৭৮,৭৫১ জন ও আনোয়ারায় ৫৩,৪২০ জন বেকার লোকের কর্মসংস্থান হবে। রোববার হোটেল ওয়েস্টিনে এ বিষয়ে এক কর্মশালার আয়োজন করা হয়। গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বাংলাদেশ অর্থনৈতিক জোন অথরিটি ‘ওয়ার্কশপ অন ড্রাফট ফাইনাল রিপোর্টস ফিজিবিলিটি স্টাডি অব থ্রি প্রোপোজড ইকনোমিক জোন’ শীর্ষক এ কর্মশালার আয়োজন করে।
পূর্তমন্ত্রী বলেন, সরকার দারিদ্র্য দূরীকরণ ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। এজন্য সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করছে। অর্থনৈতিক জোন গড়ে তোলার উদ্যোগ গোটা দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তিনি বলেন, মিসরাইতে একটি অর্থনৈতিক জোন গড়ে তোলার বিষয়ে তার একটি পরিকল্পনা ছিল। এটি আজ বাস্তবে রূপ পেতে যাচ্ছে। পূর্ত মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এবং ওই অঞ্চলের জনপ্রতিনিধি হিসেবে এ উদ্যোগকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেয়া হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান বলেন, বর্তমান সরকার দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের জন্য খুবই আন্তরিক। এ ধরনের অঞ্চল গড়ে তুলতে সরকারের রাজনৈতিক অঙ্গীকার প্রয়োজন। প্রধান মন্ত্রীর এ অঙ্গীকার রয়েছে।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক জোন অথরিটির নির্বাহী চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্বে বক্তৃতা করেন ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী (জাভেদ), প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব আবুল কালাম আজাদ ও এফবিসিসিআই-এর প্রেসিডেন্ট কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ।

ভূমিকম্প সহনশীল ভবন নির্মাণে ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড মানা জরুরি
এদিকে রাজধানীর একটি হোটেলে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি-জাইকার সহযোগিতায় পিডব্লিউডি’র উদ্যোগে আয়োজিত ‘ঝুঁকিপূর্ণ ভবনসমূহের রেট্রোফিটিং এবং নিরাপদ শহর নিশ্চিত করতে ভবন নির্মাণে গুণগতমান নিশ্চিতকরণ’ শীর্ষক সেমিনারে মোশাররাফ হোসেন বলেন, ভূমিকম্প সহনশীল ভবন নির্মাণে ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড মানার পাশাপাশি কমিউনিটি পর্যায়ে জনসচেতনতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ জরুরি।
সেমিনারে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ ইতিমধ্যে বিশ্বের কাছে মডেল হয়ে আছে। এ দেশের মানুষ সাইক্লোনের মতো বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ খুব সহজেই মোকাবিলা করছে। জাইকা ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ দলের প্রধান ফুমিও কানেকো জানান, বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম প্রধান ভূমিকম্পের ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হওয়া সত্ত্বেও এ দেশের অধিকাংশ মানুষই জানেন না ভূমিকম্পের সাবধানতা, ভয়াবহতা এবং ভূমিকম্প পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় করণীয় সম্পর্কে।