৪০ লাখ টাকা দামের ভ্যাকুটাগ দুটি দিচ্ছে ওসাপ

0
41

নগরীর বাসা-বাড়ি, শিল্প-কারখানার সেপটিক ট্যাংক থেকে মানববর্জ্য সংগ্রহের জন্য দুটি অত্যাধুনিক ভ্যাকুটাগ গাড়ি পাচ্ছে চসিক। বিলগেটস ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় যুক্তরাজ্যভিত্তিক এনজিও সংস্থা ওয়াটার অ্যান্ড স্যানিটেশন ফর দ্যা আরবার পুওর (ওসাপ) ৪০ লাখ টাকা দামের ভ্যাকুটাগ দুটি দিচ্ছে।

ওসাপের রিসার্চ কোঅর্ডিনেটর শঙ্কর দাশ বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিটি ভ্যাকুটাগ এক ট্রিপে ৪ হাজার লিটার মানববর্জ্য পরিবহন করতে পারবে। ২০১৬ সালের গ্রীষ্মকালে নগরীর উচ্চ, মধ্য ও নিম্নবিত্ত শ্রেণির ১ হাজার ৩৫০টি খানার (ঘর) সেপটিক ট্যাংক জরিপ করে আমরা জানতে পেরেছি গড়ে ১৬-২০ হাজার লিটার ধারণক্ষমতার সেপটিক ট্যাংক রয়েছে। বহুতল ভবনে একাধিক সেপটিক ট্যাংকও রয়েছে।

তিনি জানান, চট্টগ্রামে স্যুয়ারেজ লাইন না থাকায় বর্তমানে বেশিরভাগ বাসা-বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের মানববর্জ্য সনাতনী পদ্ধতিতে ঝুঁকিপূর্ণ উপায়ে পরিষ্কার করে নালায় ফেলে দেওয়া হচ্ছে। এতে পরিবেশ যেমন দূষিত হচ্ছে তেমনি স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। তাই ওসাপ চসিককে দুটি গাড়ি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এসব গাড়ি পিপিপির অধীনে চট্টগ্রাম সেবা সংস্থা নামের একটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করবে। শিগগির এ বিষয়ে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি সই হবে।

ওসাপের কর্মকর্তা নির্ঝর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ২৭ জন উদ্যোক্তার সঙ্গে কথা বলেছি আমরা ভ্যাকুটাগ পরিচালনার জন্য। এর মধ্যে চট্টগ্রাম সেবা সংস্থাকে যোগ্য মনে হয়েছে। আমরা আশা করি, উচ্চবিত্ত পরিবারের সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কারের ক্ষেত্রে লিটার প্রতি দেড় টাকা থেকে পৌনে দুই টাকা এবং গরিবদের ক্ষেত্রে ৫০ পয়সা নেওয়া হতে পারে।

আমরা আশা করছি, ভারতের টাটা চেসিস’র সঙ্গে মিরপুরের কারখানায় ওসাপের তত্ত্বাবধানে তৈরি বডি ও ট্যাংকের সমন্বয়ে তৈরি হয়েছে ভ্যাকুটাগ। প্রতিটি গাড়িতে থাকছে স্বয়ংক্রিয় পাম্প। যা ট্যাংক থেকে তরল ট্যাংকে ফেলবে এবং ট্যাংক থেকে নির্ধারিত স্থানে বের করে দেবে। একটি ভ্যাকুটাগ মাসে ৮৪ ট্রিপ দিতে পারবে। এক্ষেত্রে ৩ লাখ ৩৬ হাজার লিটার মানববর্জ্য অপসারণ করা সম্ভব হবে। চট্টগ্রামের জনসংখ্যা অনুযায়ী ১২-১৫টি ভ্যাকুটাগ দরকার।

চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শফিকুল মান্নান সিদ্দিকী যিশু জানান, দুটি ভ্যাকুটাগ হস্তান্তরের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে। বিভিন্ন বাসা-বাড়ি ও কারখানার সেপটিক ট্যাংক থেকে সংগৃহীত মানববর্জ্য  চসিকের হালিশহর ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে ওই বর্জ্য পরিশোধন করে পানি নালায় ফেলে দেওয়া হবে। কঠিন বর্জ্য থেকে জৈব সার তৈরি হবে। এক কেজি জৈব সার বর্তমানে ১২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।