৪ উইকেটে জিতে গেল জিম্বাবুয়ে

0
104

হারতে বসা ম্যাচটি অবশেষে বেশ স্বাচ্ছন্দেই ৪ উইকেটে জিতে গেলো জিম্বাবুয়ে। হাতে বাকি ছিল তখনও ১২ বল। মূলতঃ অভিজ্ঞতা আর মিডল অর্ডারে শন উইলিয়ামসের দৃঢ়তাপূর্ণ ব্যাটিংই জিম্বাবুয়েকে জিতিয়ে দিয়েছে। ৭৬ রানে অবশেষে জিতেই গেল জিম্বাবুয়েঅপরাজিত থাকেন উইলিয়ামস। তার সাথে ১৪ রানে অপরাজিত ছিলেন অধিনায়ক এল্টন চিগুম্বুরা।

অথচ, এক সময় জয়ের সম্ভাবনাই ফিকে হয়ে যাচ্ছিল জিম্বাবুয়ের। সংযুক্ত আরব আমিরাতের গড়া ২৮৫ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে দ্রুত কয়েকটি উইকেট হারানোর পর মনে হচ্ছিল হেরেই যেতে পারেন টেস্ট খেলুড়ে দেশটি। কিন্তু না, শন উইলিয়ামস আর ক্রেইগ আরভিন ৬২ বলে ৮৩ রানের দ্রুততম একটি জুটিই জিম্বাবুয়েকে নিয়ে এসেছে জয়ের পথে। ৩২ বলে ৪২ রান করে আউট হন ক্রেইগ আরভিন।

তার আগে জিম্বাবুয়ের ভালোই পরীক্ষা নিচ্ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত। জিম্বাবুয়ে বোলারদের তুলোধুনো করে ৭ উইকেটে ২৮৫ রান সংগ্রহ করার পর তাদের ব্যাটসম্যানদেরও চেপে ধরেছিল মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। ২৮৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ২৭.৩ ওভারে ১৪৪ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসেছিল ডেভ হোয়াটমোরের শিষ্যরা। এরপর আরও একটি উইকেট হারায় তারা।

এবারের বিশ্বকাপে প্রথম অঘটন ঘটিয়ে দিয়েছিল আয়ারল্যান্ড। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৩০৪ রানের বিশাল স্কোর তাড়া করে। আজও সে রকম অঘটন ঘটানোর সম্ভাবনা তৈরী করেছিল আরব আমিরাত। জিম্বাবুয়েকে যদি আরব আমিরাত হারিয়ে দেয়, তাহলে তো সেটা অঘটনই!

জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম উইকেট জুটি ভালোই করছিল। ১৩ ওভারে ৬৪ রানের জুটি গড়ার পর জিম্বাবুয়ের ওপর প্রথম আঘাত হানেন আরব আমিরাতের বোলার মোহাম্মদ তৌকির। কৃষ্ণ চন্দ্রের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে সিকান্দার রাজা করেন ৪৪ বলে ৪৬ রান। এর একটু পরই ফিরতে হলো সদ্য মাঠে নামা হ্যামিল্টন মাসাকাদজাকে। মাত্র ৪ বল মোকাবেলা করে ১ রান করেন তিনি।

রেগিস চাকাভা ৬২ বলে ৩৫ রান করে ফেরেন যখন, তখন দলের রান ১১২। নিয়মিত বিরতিতে উইকেচ হারানোর ধারাবাহিকতায় ৪৪ বলে ৪৭ রান করে ফেরেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ব্রেন্ডন টেলরও। সলোমন মিরের সঙ্গে জুটি গড়েন শন উইলিয়ামস। কিন্তু মাত্র ৯ রান করে সাজঘরে ফিরে যান মিরে।

এরপরই ৮৩ রানের ক্যামিও জুটিটি গড়ে তোলেন আরভিন আর উইলিয়ামস। উইকেট ধরে রাখাই নয় শুধু, দ্রুত রান তুলে দলের জয়কে নিশ্চিত করেন তিনি।
আরব আমিরাতের পক্ষে ৫১ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন মোহাম্মদ তৌকির। মোহাম্মদ নাভেদ, আমজাদ জাভেদ, নাসির আজিজ এবং কৃষ্ণ চন্দ্র নেন একটি করে উইকেট।