৭ মার্চের ভাষণ বিশ্বমানবতার জন্য অনুকরণীয় এক মহামূল্যবান দলিল

0
69

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে বিশ^বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে ছিল ফজরের নামাজের পর চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় মসজিদসমূহে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত এবং কেন্দ্রীয় হিন্দু মন্দিরসহ অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের স্ব স্ব উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা। সকাল থেকে বিশ^বিদ্যালয় শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চ এর ভাষণ এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করা হয়। সকাল ১০:৩০ টায় চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতারের নেতৃত্বে বিশ^বিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু চত্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়। সকাল ১০:৪৫ টায় চবি উপাচার্য দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় ঐতিহাসিক ৭ মার্চ শীর্ষক আলোচনা সভা। উক্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার। এছাড়াও জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন চবি শিক্ষক সমিতি, চবি অফিসার সমিতি ও বঙ্গবন্ধু পরিষদ।
মাননীয় উপাচার্য তাঁর ভাষণের শুরুতে বাঙালি জাতির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান, রাজনীতির মহাকবি, স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। জাতীয় চারনেতা, মহান মুক্তিযুদ্ধে শাহাদাৎ বরণকারী ত্রিশলক্ষ শহীদ, ’৭৫ এ নির্মমভাবে শহীদ বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যবর্গের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতিত দু’লক্ষ জায়া-জননী-কন্যার প্রতি বিশেষ সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বলেন, ১৯৭১ এর ৭ই মার্চ স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে অসীম সাহসিকতায় লাখো জনতার উদ্দেশ্যে যে ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন তা মূলত স্বাধীনতা পিয়াসী বাঙালি জাতির ঐক্যের মূল মন্ত্র ও মুক্তির সনদ। তিনি আরও বলেন, ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুধু বাঙালি জাতির জন্য নয়; বিশ^মানবতার জন্য অনুকরণীয় এক মহামূল্যবান দলিল; যা যুগ যুগ ধরে বিশে^র নিপীড়িত-নির্যাতিত গণমানুষের মুক্তির অন্যতম অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। মাননীয় উপাচার্য কালজয়ী ৭ মার্চের ভাষণের মর্মবাণী হৃদয়ে ধারণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক-গণতান্ত্রিক-মানবিক চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার বলিষ্ট নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রায় ভূমিকা রাখতে সকলের প্রতি আহবান জানান।
আলোচনা সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ছাত্র-ছাত্রী পরামর্শ ও নির্দেশনার পরিচালক প্রফেসর সিরাজ উদ দৌল্লাহ। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চবি বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. নাসিম হাসান, চবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জনাব মঞ্জুরুল আলম, সিন্ডিকেট সদস্য জনাব সেতু রঞ্জন বিশ^াস, শহীদ আবদুর রব হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. এ কে এম মাঈনুল হক মিয়াজী, বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মো. সেকান্দর চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু পরিষদ চবি’র সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ রাশেদ উন নবী, অফিসার সমিতির সভাপতি জনাব রশীদুল হায়দার জাবেদ, কর্মচারী সমিতির সভাপতি জনাব মো. আনোয়ার হোসেন ও কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি জনাব মো. আবদুল হাই। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) জনাব কে এম নুর আহমদ। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ করা হয়। আলোচনা সভায় চবি বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ, শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ, হলের প্রভোস্টবৃন্দ, বিভাগীয় সভাপতি, ইনস্টিটিউট ও গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালকবৃন্দ, প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টরবৃন্দ, সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ, অফিস প্রধানবৃন্দ, বিভিন্ন সমিতির নেতৃবৃন্দসহ চবি পরিবারের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।