৪৬ তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নগরীর ৭ জন বিশিষ্ট নাগরিক ও গুনী ব্যক্তিকে স্বাধীনতা স্মারক সম্মাননা পদক প্রদান করে। ২৬ মার্চ শনিবার, বিকেলে নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে শিক্ষায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর আনোয়ারুল আজিম আরিফ, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাযুদ্ধে অবদানের জন্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ডা. মোহাম্মদ ছৈয়দুর রহমান চৌধুরী, গবেষনায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ডিন সমাজ গবেষক প্রফেসর ড. গাজী সালেহ উদ্দিন, চিকিৎসা ক্ষেত্রে অবদানের জন্য পতেঙ্গার কৃতি সন্তান ডা. মো. আয়ুব আলী (মরণোত্তর), সমাজ সেবায় সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলম এর পিতা আলহাজ্ব আবদুল হাকিম কন্ট্রাক্টর (মরণোত্তর), সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য সাংবাদিক নাসিরুদ্দিন চৌধুরী এবং ক্রীড়া ক্ষেত্রে অবদানের জন্য আল্লামা মোহাম্মদ ইকবাল (মরণোত্তর)কে প্রদত্ত স্বাধীনতা স্মারক সম্মাননা পদক তুলে দেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন। অনুষ্ঠানে মরহুম ডা. মো. আয়ুব আলীর পক্ষে পদক গ্রহন করেন তাঁর একমাত্র পুত্র আক্তারুজ্জামান খোকন, মরহুম আল্লামা মোহাম্মদ ইকবালের পক্ষে পদক গ্রহন করেন তাঁর স্ত্রী হাসিনা আকতার এবং মরহুম আবদুল হাকিম কন্ট্রাক্টর এর পক্ষে পদক গ্রহন করেন তাঁর নাতি সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোহাম্মদ দিদারুল আলম। স্বাধীনতা পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ২৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি নাজমুল হক ডিউক। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ শফিউল আলম, সচিব রশিদ আহমদ, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল মহিউদ্দিন আহমদ, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা মিসেস নাজিয়া শিরিন, অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনায় ছিলেন প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মঞ্জুরুল ইসলাম ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবদুর রহিম। পদকপ্রাপ্তদের মধ্যে অনুভূতি ব্যক্ত করেন আবদুল হাকিম কন্ট্রাক্টর এর নাতি সাংসদ মো. দিদারুল আলম, প্রফেসর আনোয়ারুল আজিম আরিফ, প্রফেসর ড. গাজী সালেহ উদ্দিন, ডা. মো. ছৈয়দুর রহমান চৌধুরী, নাসিরুদ্দিন চৌধুরীর পক্ষে তাঁর পুত্র মিনহাজ উদ্দিন চৌধুরী রনি, ডা. আয়ুব আলীর পক্ষে তাঁর পুত্র আক্তারুজ্জামান খোকন এবং আল্লামা মোহাম্মদ ইকবালের পক্ষে তাঁর পুত্র নাভিদ নেওয়াজ। অনুষ্ঠানে কাউন্সিলর এস এম এরশাদ উল্লাহ, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিসেস লুৎফুন্নেছা দোভাষ বেবী, আবিদা আজাদ, চসিক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম ও মো. মাহফুজুল হক অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
পদক প্রদান অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সিটি মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, গুনীদের মূল্যায়ন এবং মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের মর্যাদা সমুন্নত রাখতেই এ পদক প্রদান কর্মসূচি। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম স্বাধীনতা সংগ্রামের সুতিকার। মহান মুক্তিযুদ্ধ চট্টগ্রাম থেকে শুরু হয় এবং জাতির জনকের পক্ষে চট্টগ্রাম থেকে স্বাধীনতার ঘোষনা করেন জননেতা এম এ হান্নান। চট্টগ্রাম ব্রিটিশ ও পাকিস্তান বিরোধী আন্দোলনের তীর্থস্থান এবং গনতন্ত্র ও অধিকার আদায়ের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি চিহ্নগুলোকে সংরক্ষন, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিশোধ নির্মাণ, যাদুঘর করার পরিকল্পনা গ্রহন করা হবে। জনাব আ জ ম নাছির উদ্দীন এ প্রসঙ্গে বলেন, বাংলাদেশ ধীরে ধীরে উন্নতি ও সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়ন ও অগ্রগতির চাকাকে স্তব্দ করতে ১৯৭১ সনের পরাজিত অপশক্তি অপতৎপরতায় এবং ষড়যন্তে লিপ্ত। মেয়র বলেন, চরমপন্থী, জঙ্গী ও সন্ত্রাসীরা বিদ্যমান শান্তি ও স্থিতিশীলতা নসাৎ করার অপপ্রয়াসে লিপ্ত তাদেরকে প্রতিহত করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তিনি চট্টগ্রামকে নিরাপদ, স্থিতিশীল, ক্লিন, গ্রিন ও স্মার্ট সিটিতে পরিনত করার কর্মপরিকল্পনায় গুনী ও বিশিষ্ট জনদের সহযোগিতা কামনা করা হয়। পরে রচনা, সাধারণ নৃত্য, দেশের গান, উপস্থিত বক্তৃতা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ৬০ জনের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।