‘তুমি কোটি প্রাণের আশা, তুমি বাংলার ভালোবাসা’

0
160

হাতে নানান রংয়ের ফেস্টুন। কোনটাতে ভালোবাসার সুরে লেখা ‘ভালোবাসার আরেক নাম-লাল সবুজের দুই নম্বর জার্সি পরিহিত মানুষটা’, ‘তুমি কোটি প্রাণের আশা, তুমি বাংলার ভালোবাসা’। কোথাও আবার সিরিয়াস ঢঙে লেখা ‘তার মর্ম বুঝেনি হাতুরাসিংহরা, তারা হয়তো জানে না তিনিই ১৬ কোটির প্রাণ।’

এতক্ষণে বুঝাই যাচ্ছে কাকে নিয়ে আবেগের এতো ‘বিস্ফোরণ’। হ্যাঁ নিশ্চিতভাবেই সেই নামটি মাশরাফি বিন মর্তুজা। সদ্য টি-টোয়েন্টির জার্সি তুলে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া দেশের ক্রিকেটের অবিসংবাদিত নায়ক।

শনিবার বিকেল সাড়ে তিনটা থেকে সাড়ে চারটা পর্যন্ত চট্টগ্রামের মাশরাফি ভক্তরা উপরের লেখা সংবলিত ফেস্টুন হাতে প্রেসক্লাবের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন দুটো উদ্দেশ্যে।

এক-দেশের মাটিতেই টি-টোয়েন্টিকে বিদায় জানাক মাশরাফি।

দুই-সমস্ত কিছুর জন্য মাশরাফিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন।

মাশরাফির টি-টোয়েন্টির অবসর নিয়ে চারদিকে নানান কথা শোনা যাচ্ছে। তবে এটা অনুমেয় যে-মাশরাফির অবসরটা পূ্র্বের সিদ্ধান্ত থেকে হয়নি। বিদেশের মাটিতেই কেনো হুট করে অবসরের ঘোষণা দেবেন তিনি। তাবৎ দর্শককূলকেও ছুঁয়েছে তার হঠাৎ সরে যাওয়ার সেই কথা। প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করা তরুণদের মুখে মুখে ছিল এসব কথা।

ক্রিকপ্লাটুন, মাশরাফি বিন মর্তুজা ফ্যানস গ্রুপ নড়াইল, ডাই-হার্ট লাভার্স অব বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম, ক্রিকেটফ্রিক নামের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক পেজগুলোর উদ্যোগে ‘মাশরাফির জন্য বাংলাদেশ (চট্টগ্রাম)’ শীর্ষক ইভেন্ট খুলে আগেই ঘোষণা দেওয়া হয় এই মানববন্ধন আয়োজনের।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন তাজিন হাসান, তানজির হাসান শাওন, তাকিবুল ইসলাম, তৌহিদুল ইসলাম লিমন প্রমুখ।

তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, ‘মাশরাফি শুধু একজন ক্রিকেটার নন। তিনি তার চেয়েও অনেক বেশি কিছু। বাংলাদেশের ক্রিকেটে তার অবদান অনস্বীকার্য। কিন্তু তার টি-টোয়েন্টি থেকে বিদায় নেওয়াটা যেমন হওয়া উচিত ছিল-বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সেভাবে করেনি। আমাদের দাবি বিসিবি তার বিদায়ের আয়োজন করুক। দেশের মাটিতে খেলেই বিদায় নিক আমাদের প্রিয় মাশরাফি।’

‘আর আমাদের মানববন্ধনের আরও একটা বড় উদ্দেশ্যে সবকিছুর জন্য মাশরাফিকে ধন্যবাদ দেওয়া।’-বলেন তারা।

তারা আরও বলেন, ‘আমাদের দাবি মাশরাফির সঙ্গে যা হয়েছে তা ভবিষ্যতে অন্য কোনো ক্রিকেটারের সঙ্গে না হোক। পাশাপাশি ক্রিকেটের ভালোর জন্য বিসিবির স্বেচ্ছাচারিতা ও কোচের একনায়কতন্ত্র বন্ধ করা হোক।’