উদ্বোধনের অপেক্ষায় কাপ্তাই সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প

0
210

জাতীয় গ্রীডে যোগ হচ্ছে ৫.৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ

নজরুল ইসলাম লাভলু, কাপ্তাই (রাঙামাটি),
কাপ্তাইয়ে সৌরশক্তির সাহায্যে ৭.৪ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুৎ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এপ্রিল ২০১৯ মাসের যে কোনদিন প্রকল্পটি উৎপাদনে যেতে পারবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র।

পিডিবি’র চীফ ইঞ্জিনিয়ার প্রকৌশলী মোঃ আব্দুর রহমান জানান, কাপ্তাই প্রজেক্ট এলাকাধীন কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান বাঁধ সংলগ্ন খালী জায়গায় ২০১৭ সালের ৯ জুলাই সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পটির কার্যক্রম শুরু হয়। পুরো প্রকল্প এলাকায় সুউচ্চ সীমানা প্রাচীর দিয়ে ঘেরাও দেওয়া হয়েছে। রাখা হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনী। ইতিমধ্যে প্রকল্পের সিংহভাগ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চীনের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জেটটিক কর্পোরেশন বৈদ্যুতিক পাওয়ার প্ল্যান্টটি নির্মাণ করছে। এ প্রকল্পের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১শ ৯ কোটি ৫৫ লাখ ৩৯ হাজার টাকা। এর মধ্যে ৮৪ কোটি ৫৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা দিয়েছে এশিয়ান ব্যাংক (এডিবি)। এ প্রকল্পের সরকারি (জিওবি) অর্থায়ণ হচ্ছে ১৭ কোটি ৫৫ লাখ ২৮ হাজার টাকা। অবশিষ্ট ৭ কোটি ৭৪ লাখ ২১ হাজার টাকা অর্থায়ন করছে পিডিবি। প্রকল্পে উৎপাদিত প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুতের উৎপাদন ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ টাকা ৪৮ পয়সা।

প্রকল্প পরিচালক (পিডি) মোঃ ফারুক জানান, প্রায় ১শ ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। পুরো অর্থের যোগান দিচ্ছে এডিবি। এপ্রিল মাসের যে কোনদিন সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হতে পারে বলে তিনি জানান। সৌরশক্তির সাহায্যে এ প্রকল্প থেকে দৈনিক ৭.৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। এর মধ্যে ২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কাপ্তাই প্রজেক্টে ব্যয় করা হবে। বাকী ৫.৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে সঞ্চালন করা হবে। প্রসঙ্গ ৭.৪ মেগাওয়াট সৌরশক্তি পাওয়ার প্ল্যান্ট নির্মাণের লক্ষ্যে ইপিসি চুক্তি সাক্ষরিত হয়। এ প্রকল্পের নাম দেয়া হয়েছে “কাপ্তাই ৭.৪ মেগাওয়াট সোলার ফটোভোলটিক গরিড কানেকটেড পাওয়ার জেনারেশন প্ল্যান্ট কাপ্তাই”। উল্লেখ প্রকল্পটি চালু হলে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫টি ইউনিটে উৎপাদিত ২৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের সাথে আরো ৫.৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হবে।