শেখ রেহানার কন্যা টিউলিপের বিবাহোত্তর সংবর্ধনা

0
597

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বান শেখ রেহানার কন্যা ও বঙ্গবন্ধুর নাতনী টিউলিপ সিদ্দিকের বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানtilip সম্পন্ন হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় পূর্ব লন্ডনের ইমপ্রেশন ইভেন্ট ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি উপস্থিত ছিলেন। টিউলিপের বর ক্রিস্টোফার উইলিয়াম সেইন্ট জন পার্সি ওরফে ক্রিস যুক্তরাজ্য সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা। টিউলিপ-ক্রিস কিছুদিন আগেই বিয়ে করেছেন।

ব্রিটিশ বর ক্রিস বাঙালি বর বেশে অনুষ্ঠানে হাজির হন। তার পরনে ছিল শেরোয়ানি, মাথায় সাদা পাগড়ি। কনে টিউলিপ পরে ছিলেন হালকা কাজের লাল শাড়ি, মাথায় সোনালী ওড়না। বর-কনে দুই জনের গলায় ছিল ফুলের মালা। দুই পরিবারের লোকজন একে একে নবদম্পতিকে মিষ্টিমুখ করান। ফাঁকে ফাঁকে চলছিল ফটো তোলা। প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েই পুরো অনুষ্ঠান ঘুরে সকলের সাথে কুশল বিনিময় করেন। সৈয়দা রেখা ফারুক ও গৌরী চৌধুরীর পরিচালনায় স্টেজের সামনে ধ্রুপদী নৃত্য পরিবেশন করেন একদল শিল্পী। এরপর ‘আইলো দামান’, ‘মালকা বানুর দেশেরে’ —এসব গানের সাথে চলে নৃত্যাভিনয়। অনুষ্ঠানে বর পক্ষে শেতাঙ্গ তরুণীরা এসে ছিলেন সালোয়ার-কামিজ পরে। শ্বেতাঙ্গ তরুণদের পরনে ছিল পায়জামা-পাঞ্জাবি। অনুষ্ঠান জুড়েই ছিল বাঙালিয়ানার আমেজ। বাঙালি বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা কেমন লাগছে-এমন প্রশ্নের জবাবে বর ক্রিস এই প্রতিবেদককে বললেন, আমি কখনো এরকম অনুষ্ঠান দেখিনি। এটা অসাধারণ।

শফিক সিদ্দিক ও শেখ রেহানার কন্যা টিউলিপ লেবার পার্টির একজন সক্রিয় কর্মী। তিনি লন্ডনের ক্যামডেন সিটি কাউন্সিলের একজন কাউন্সিলর। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এমপি রুশনারা আলী ছাড়াও সাবেক মন্ত্রী এবং লেবার পার্টির এমপি কীথ ভাজ, এমপি ফ্রাংক ডবসন, এমপি এমিলি থর্নবেরি, এমপি জিম ফিজপেট্রিক ও এমপি জেরেমি করবিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে নবদম্পতিকে শুভেচ্ছা জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় ও পুত্রবধূ ক্রিস্টিনা ওয়াজেদসহ পরিবারের সদস্যরাও অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা প্রতিটি টেবিলে টেবিলে গিয়ে অতিথিদের খোঁজ-খবর নেন। টিউলিপ তার স্বামীকে সকলের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। তারপর বর-কনে সকলের দোয়া প্রার্থনা করেন। এ সময় ব্রিটিশ বর ক্রিস বাংলাতেই নিজের পরিচয় দিয়ে সকলকে ধন্যবাদ জানান। এবার টিউলিপের পালা। তিনি বলেন ‘আমার বর যখন বাংলায় বললেন, তখন আমাকে ইংরেজিতেই বলতে হয়। তিনি সকলকে ধন্যবাদ জানান এবং দোয়া কামনা করেন। টিউলিপ জানান, এ অনুষ্ঠানে পাওয়া সকল উপহার দাতব্য প্রতিষ্ঠানে দান করা হবে।

সবার শেষে প্রধানমন্ত্রী নবদম্পতির জন্য দোয়া কামনা করে বলেন, রেহানা আমার ছোট বোন। ওর মেয়ের বিয়েতে না এসে আমি পারলাম না। কড়া নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে বিয়ের এই আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।