বোতল-বাস্তসংস্থান

0
185
 আপনি কী জানেন, একটি বোতলের মাঝে সঠিক উপায়ে তৈরি করা বাস্তসংস্থান অনেকটা সময় জীবিত থাকতে পারে বাইরের বাতাস বা পানি ছাড়াই? শুধু তাই নয়, এমন একটি বাস্তসংস্থান আপনি নিজেই তৈরি করতে পারেন ঘরে থাকা কিছু উপাদান দিয়ে। চলুন দেখে নিই দারুণ এই এক্সপেরিমেন্ট।
এই এক্সপেরিমেন্টের জন্য দরকারি জিনিস হলো মূলত ২ লিটারের একটা প্লাস্টিকের কোকের বোতল, মাটি আর কয়েকটা শিমের বীজ। হ্যাঁ, এটুকুই! এতে দরকার হবে না তেমন “বিজ্ঞানী” ধাঁচের কোনো যন্ত্রপাতি।
এইসব জিনিস একসাথে এনে রাখুন। ধুয়ে ফেলুন বোতলটা। এর পর বোতলের যেখানে গলাটা সরু হতে শুরু করেছে, সেখান বরাবর কেটে ফেলুন। অথবা লম্বা কোনো বোতলে হলে এর ওপর থেকে সিকিভাগ অংশ কেটে ফেলুন।
বোতলের তলায় ৮-১০ সেন্টিমিটার মাটি দিয়ে দিন। এরপর ৪-৬ টা শিমের বীজ বপন করুন মাটি থেকে দুই সেন্টিমিটার নিচে। অন্য ধরণের বীজ ব্যবহার করতে পারেন তবে শিমের বীজ বেশ কষ্টসহিষ্ণু। এবার মাটির ওপর এক চিমটি ঘাসের বীজ দিয়ে দিন এবং ওপরে অল্প করে মাটি ছিটিয়ে দিন।
অল্প করে পানি দিন এই মাটিতে। তবে মাটি কাদা কাদা করে ফেলবেন না। এবার বোতলের বাকি অংশটা (যেটা কেটে ফেলা হয়েছিলো) উপুড় করে বসিয়ে দিন বোতলের ভেতর এবং স্বচ্ছ টেপ দিয়ে লাগিয়ে নিন যাতে পুরো বোতল এয়ারটাইট হয়ে যায়।
তৈরি হয়ে গেলো আপনার বোতল-বাস্তসংস্থান। এবার এটাকে কোনো জানালার পাশে রেখে দিন। তবে সরাসরি সূর্যের আলোয় নয়, একটু আড়ালে। এই বোতলের ভেতর আর পানি বা সার দিতে হবে না। কিছুদিনের মাঝেই এর ভেতরটা রীতিমত সবুজে ভরে যাবে। আপনি চাইলে এর ভেতরে একটা পোকা অথবা কেঁচো দিয়ে দেখতে পারেন এই পরিবেশে সে কী করে।
এ ধরণের বোতল তৈরি করার জন্য কাঁচের বোতল বা জার ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো তৈরির বাণিজ্যিক কিট কিনতেও পাওয়া যায়। অনেকে আবার জলজ বাস্তসংস্থান তৈরি করেন এমন বদ্ধ পরিবেশের ভেতর।
দেখতে পারেন ছোট্ট একটি ভিডিও-

টিপস
– মাটি দেবার আগে দিতে পারেন নুড়িপাথরের একটা পাতলা স্তর (যা কিনা অ্যাকুরিয়ামের নিচে দেয়া হয়) এবং এর ওপর দিতে পারেন অ্যাক্টিভেটেড চারকোল পাউডারের একটা স্তর। এর ওপরে দিতে পারেন মাটি।
– বীজ বপনের বদলে সরাসরি ছোট কোনো চারা লাগিয়ে দিতে পারেন।
– ডেকোরেশনের জন্য রাখতে পারেন রঙ্গিন পাথর।